,

জনমানুষের মতামত নিয়ে এনসিপিকে শাপলা দেওয়া হোক

এনসিপির শাপলা প্রতীক দাবি নিয়ে আম-জনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের রায় নেওয়া উচিত এই বিষয়ে। তারপর তাদের শাপলা দেওয়া হোক। এ ছাড়া প্রতীকের ক্ষেত্রে অদ্ভুত সব যুক্তি দিচ্ছে এনসিপি। সম্প্রতি একটি টক শোতে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

 

ডেস্ক রিপোর্টঃ
এনসিপির শাপলা প্রতীকের দাবি নিয়ে মো. তারেক রহমান বলেন, ‘একটা সমীক্ষা করেন যে বাংলাদেশের মানুষ এটাকে সমর্থন করে কি না। কোনো রাজনৈতিক দলকে শাপলা প্রতীকটা দেওয়া হোক, বাংলাদেশের মানুষ যদি সমর্থন করে, তবে তারা পাক। প্রতীকের জন্য না করেন, মানুষ সাপোর্ট করে— এটা এথিক্যালি তারা বলছে না? তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বলছে যে সব কিছু আইন দিয়ে হয় নাকি, নৈতিক একটা বিষয় আছে না! শাপলা পাওয়াটাও কি নৈতিক বিষয়? বাংলাদেশের সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের ক্যালেন্ডার, পত্রিকা, বিভিন্ন ম্যাটারিয়াল কনটেক্সট—সব কিছুতে শাপলা। ধানের শীষ এক টাকার কয়েনে আছে।

সাইডে ধানের শীষ যেই এঙ্গেলে যেভাবে আছে ওটাকে মার্কা হিসেবে এসাইন করে না। যেই মার্কাটা ধানের শীষ মার্কা হিসেবে প্রচার করে, সেটাকে অ্যাসিস্ট করে না। তো শাপলা যেইভাবে প্রচারিত হয়, সেই শাপলা আপনি নেবেন না। শাপলাটা প্রমিনেন্ট শাপলা, যেভাবে ফুটে আছে।

তাহলে একটা কাজ করুক, তারা অফুটন্ত শাপলা নিক। মুখ বন্ধ করা একটা শাপলা। মুখ বন্ধ করা শাপলা নিক। তারা আবার যুক্তি দেয়— সুন্দর, যে পানিতে ভাসমান শাপলা আর মার্কা শাপলা এক না। তাদের অদ্ভুত অদ্ভুত যুক্তি কই থেকে যে আসে! মানে চিন্তার একটা মিনিমাম লেভেল থাকা উচিত যে কোনটা ভাবা উচিত, কোনটা ভাবা উচিত না।’

সম্প্রতি উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, সরকারের সব পদ বিএনপি-জামায়াত ভাগাভাগি করে নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তারেক বলেন, ‘মাহফুজ বলছে যে জামায়াত এবং বিএনপি সব ভাগাভাগি করে নিয়েছে। মাহফুজকে দায়িত্ব দিয়েছে দেশের মানুষ। দায়িত্ব তার কাছে আমানত। সে এত দিন ধরে ক্ষমতা এনজয় করে এসে এখন বলছে, বিএনপি এবং জামায়াত ভাগাভাগি করে নিয়েছে। তাহলে জনগণের আমানত যে রক্ষা করতে পারল না নির্বাচনের সামনে এসে, দায়িত্ব ছেড়ে দেবে ভোটে অংশগ্রহণ করার জন্য, সে এখন এসে বলছে— বিএনপি এবং জামায়াত সব ভাগাভাগি করে নিয়েছে। বিএনপি এবং জামায়াত যদি ভাগাভাগি করে নেয়, তাহলে ঢাকা উত্তরের প্রশাসক সে তো নাগরিক কমিটি থেকে আসছে। ঢাকা দক্ষিণের সেটা তো আসিফই নিয়োগ দিল। ওইখানে তো ইশরাককে তো নিয়োগ দেয়নি। যেখানে ইশরাক আদালতের দ্বারা সুপারিশকৃত ছিল বা রায়কৃত ছিল। তো আদালতের রায়কৃত ইশরাক কিন্তু দায়িত্ব নিতে পারে নাই। বিএনপির যদি ভাগাভাগি করে নেওয়ার ক্ষমতাই থাকত, তাহলে তো ইশরাককে ওখানে নিয়ে নিত। আসিফের মতো একটা লোক, নির্বাচনে যারা প্রার্থী, সেই প্রার্থীগুলোর মধ্যে কোনো একটা প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় ট্যাগিং করতে পারে? একজন উপদেষ্টা হয়ে কারো বিরুদ্ধে যখন ট্যাগিং করে, তার ভোট কমে যায় না? তাহলে এই জায়গায় সে এথিক্সের বাইরে কাজটা করছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *