,

জয়নগর আমিনিয়া হামিদিয়া ফাযিল মাদ্রাসায় স্বচ্ছতার ভিত্তিতে দুইটি পদে নিয়োগ সম্পন্ন

শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান জয়নগর আমিনিয়া হামিদিয়া ফাযিল মাদ্রাসায় কম্পিউটার অপারেটর ও গবেষণাগার/ল্যাব সহকারী দুইটি পদে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার ৩১ শে মে দুপুর ৩টার সময় মাদ্রাসা হল রুমে পরিদর্শক মাদ্রাসার শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি প্রতিনিধ মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের উপস্থিতিতে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন,মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা.আব্দুল মান্নান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,শিক্ষক প্রতিনিধি মাওলানা আব্দুল হান্নান,বিদ্যুৎসাহী সদস্য মোস্তফা নূর মোহাম্মদ।মাদ্রাসার দুইটি নিয়োগ পরীক্ষায় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে ৫ জন ও গবেষণাগার ল্যাব সহকারী পদে ৫ জন করে পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। শান্তিপূর্ণভাবে লিখিত পরীক্ষা ও ভাইবা পরীক্ষা মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে দুটি পদে বিকাল ৫টার সময় মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা, আব্দুল মান্নান, পরীক্ষার্থী,মাদ্রাসার শিক্ষক, অভিভাবক,পরীক্ষার্থীর আত্মীয়-স্বজন সহ সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দুইটি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন, তার হলেন কম্পিউটার ল্যাব-অপারেটর পদে আব্দুল্লাহ ও গবেষণাগার ল্যাব সহকারী পদে আতিকুর রহমানের নাম ঘোষণা করেন।নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করার পরপরই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া প্রার্থীদের লোকজন উত্তেজিত হয়ে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকে।
এবিষয়ে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. আব্দুল মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন মাদ্রাসার সুনাম রক্ষা করে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। ইতিমধ্যে আমি সাত-আটটি নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। কোনদিন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেনি।
আমি বা মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সকল পর্যায়ের সদস্যবৃন্দের পরামর্শক্রমে ও সকলের উপস্থিতিতে মাদ্রাসায় দুইটি পদে গতকাল শুক্রবার স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করি। যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি তারা মাদ্রাসার ও সভাপতি ভাবমূর্তি ও নষ্ট করার জন্য মাদ্রাসার ভিতরে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মোটরসাইকেলে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এমন ঘটনায় ইতিপূর্বে কখনো ঘটেনি। এমন ঘটনায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ,শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসীর মধ্যে খোপের সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *