,

তানোরে নৌকার পক্ষে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

মোঃফিরোজ উদ্দিন, তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।শুক্রবার(২২ অক্টোবর) বিকেলে মুন্ডুমালা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৌর আওয়ামী লীগের এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বর্ধিত সভায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমিনের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী-১(তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন,
নবাব সিরাজ দৌলার ঘরের মধ্যে মীরজাফর ছিল। আজকে আওয়ামী লীগের ঘরের মধ্যে এখানেও কিন্তু মীরজাফর আছে।এবং আপনারা সবাই জানেন এবং এই মীরজাফদের কিন্তু চেনেন।তারা ওই জামাত বিএনপিদের সাথে হাত মিলিয়ে আছে। এরা কামে একদিকে হয়ে আছে আওয়ালীগের কিন্তু তারা অন্য আরেক জামাত বিএনপির দিকে মিলে আমাদের পরাজয় চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরাজয় চাই,ওরা বাঙালি জাতির পরাজয়, চাই এরা বাংলাদেশের পরাজয় চাই, ওরা বঙ্গবন্ধুর চেতনার পরাজয় চাই, এরা আসলে আওয়ামী লীগ না এরা আওয়ামী লীগের মধ্যে রং ধরে আছে। এরা দিনের বেলায় আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ করে রাতের বেলা এরা আওয়ামী লীগ করে না।এই জন্য আমাদেরকে এই নির্বাচনে লড়াই করতে হবে। জিততে হবে এই তানোর গোদাগাড়ীর মাটি বিএনপি রাজাকারদের মাটি ছিলো। এই মাটিতে আপনারা লড়াই করে বঙ্গবন্ধুর মাটিতে পারিনিতো করেছেন। নৌকার মাটিতে পরিনত করেছেন এই নৌকাকে আপনাদের ধরে রাখতে হবে। ঘুনিঝড় যেমন আস্তে আস্তে দূর্বল হয়ে যায় ঠিক এই ঘূর্ণিঝড় যারা, আওয়ামী লীগ এর সাথে বেঈমানি করছে তাদের প্রতেককে চেনেন এবং প্রতেককে জানেন এদেরকে প্রতিহত করেন। এদেরকে আমরা একেবারে শান্ত করে দিতে চাই। এরা যেন আর কোনদিনো ঝাড় হতে না পানে। এ-ই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীক’কে জিতাতে হবে। তানোর বাসিকে জিততে হবে। এ বিজয় হবে তানোরের মানুষের বিজয় এ বিজয় হবে তানোরের মানুষের উন্নয়নের বিজয় এ বিজয় হবে মির্জাফরদের বিরুদ্ধে বিজয়। এ নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হয়ে আমরা আমাদেরকে মুক্তকরে নেব। যাতে আমরা সামনের নির্বাচনে উন্নয়নের পথে আরকেউ বাধা হতে না পারে।

তিনি আরো বলেন, যারা বিদ্রহী হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাদের সাথে আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্ক থাকবে না। তিনি আরো বলেন আমি অতন্ত্য সহজ ভাবে বলছি চেয়ারম্যানি প্রর্থী যারা হয়েছেন যাদের হাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নৌকা প্রতিক তুলে দিয়েছেন তাদের হয়ে কাজ করেন। তাদের কিছু ভুল ভ্রান্তী থাকতেই পারে তাদের সেই ভুল গুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে আপনার নৌকার পক্ষে কাজ করবে। ১১তারিখে আমরা ৭ টি ইউনিয়নে নৌকার বিজয় এই আসা ব্যাক্ত করে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন,। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরিফ খান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার, বাধাইড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, পাঁচন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, বাধাইড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, কলমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম স্বপন,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউন্সিলর নাহিদ হাসান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মুন্টু, উপজেলা সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান নয়ন, কলমা ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি মুর্শেদুল মোমিন রিয়াদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *