,

তারেক রহমান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো পরিবর্তন করতে চান- নাছির উদ্দীন নাছির

মোঃ আবুল বাসার,(নোয়াখালী) প্রতিনিধিঃবিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের বেতনের গতানুগতিক যে অবস্থা তা পরিবর্তন করতে চান বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছ (১০ জুন) মঙ্গলবার নাসির উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চরক্লার্ক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিদায় অনুষ্ঠানে আলোচনা কালে তিনি এ বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, তারেক রহমান কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে বলেছেন বিএনপি যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় তবে শিক্ষকদের বেতনকাঠামো পরিবর্তন করতে চান। তিনি আরো জানান, তারেক রহমানের সাথে আমাদের কথা হলে তিনি প্রায়ই বলে থাকেন তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চান এবং তিনি শিক্ষকদের আর্থসামাজিক অবস্থা ও পরিবর্তন করতে চান।
এছাড়াও ‘বিএনপিকে জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে ৩টি ভাষা আবশ্যিক ভাবে শিখতে উদ্যোগ নেওয়া হবে’ তারেক রহমান এমন বিষয় জানিয়েছেন বলে জানান নাছির উদ্দিন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমার দেশের শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স শেষ করার পরও আইইএলটিএস করতে গেলে আবারো ইংরেজি পড়তে হয়, ইংরেজি শিখতে হয়। একজন শিক্ষার্থী দীর্ঘ ১৮-২০ বছর ইংরেজি পড়ার পরও আইইএলটিএসে খুব ভালো করতে পারে না। তার মতে, আমাদের দেশের গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ছোটকাল থেকে একজন শিক্ষার্থীর ইংরেজি প্রতি একটা ভীতি কাজ করে। আর এই ভয় ভীতির কারণে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি শিখতে পারে না।
নাসির উদ্দিন নাসির তার গ্রামের যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন সেখানে আজ দু’জন শিক্ষকের আনুষ্ঠানিক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। তিনি আলোচনাকালে তার প্রিয় শিক্ষকদের শ্রদ্ধার সাথে স্মৃতিচারণ করেন এবং প্রিয় শিক্ষাঙ্গনের রঙ্গিন স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা বর্ণনা করেন। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে সর্বদা সহায়তা করার কথাও ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি তার পক্ষ থেকে প্রিয় শিক্ষকদের হাতে উপহার তুলে দেন। বিদায়ী শিক্ষকেরাও আজকে তার এ অবস্থানের কারণে অনেক গর্বিত বলে জানান।
অনুষ্ঠানে নাছির উদ্দিন নাছির এলাকাবাসীর সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এছাড়াও তিনি সুবর্ণচরের বিভিন্ন সড়কের বেহাল দশা, চরম বিদ্যুৎ সমস্যা, অপ্রতুল স্বাস্থ্যসেবা সহ নানাবিধ নাগরিক সমস্যা গুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন বিগত ১৫ বছর সুবর্ণচর উপজেলা প্রকৃত অভিভাবকহীন থাকায় জনগণের এসব ভোগান্তির কোনো সমাধান হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *