আল-হুদা মালী,শ্যামনগর প্রতিনিধি: এই গাবুরার আকাশ-বাতাস, খাল-বিল ও নদী, ডাকিছে তোমায় “হাজী সোহরাব” ফিরিয়া আসিতে যদি এখানে এখন মানবহৃদয়ে তোমার ছবি আঁকা, এই স্লোগানকে সামনে রেখে। দক্ষিণ খুলনার শ্রেষ্ঠ দানবীর শিক্ষানুরাগী,সমাজসেবক ও গাবুরা ইউনিয়নে বারবার নির্বাচিত প্রাক্তন, চেয়ারম্যান মরুহুম আলহাজ্ব জি, এম, সোহরাব আলীর ১৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করছেন তিনি।
রবিবার (১০ই নভেম্বর) সকাল ১১টার সময় চাঁদনীমুখা পি জে আলিম মাদ্রাসা হল রুমে দোয়া ও আলোচনা সভা করেন। তিনি ১৫ মার্চ ১৯২০ সালে গাবুরার স্বনামধন্য গাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ৮৫ বছর বয়সে ৮ই নভেম্বর ২০০৫ সালে ঢাকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর ব্যাক্তি জীবন, সামাজিক জীবন ও রাজনৈতিক জীবনে মহৎ কাজ ও সততার জন্য সাধারণ মানুষ একাধিক বার তাঁদের জন প্রতিনিধি হিসাবে তাঁকে নির্বাচিত করেছিলেন। ১২নং গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদে একাধিক বার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন, সুযোগ্য বড়পুত্র গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি, এম, মাছুদুল আলম। সভাপতিত্ব করেন, চাঁদনীমুখা পরীজান আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, গাবুরা ৬নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন ইউপি সদস্য ও সুযোগ্যজামাতা এস, কে, নূর মোহাম্মদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সুযোগ্য পুত্র জহুরুল আলম (হেনা), আরো উপস্থিত ছিলেন, গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের সকল ইউপি সদস্যরা, সহ আমিনুর সানা, মাষ্টার খাইরুল ইসলাম, মাষ্টার আব্দুর রশিদ, এ্যাডভোকেট সুলাইমান ইসলাম, প্রমূখ।
আয়োজন করেন,চাঁদনীমুখা পরীজান আলিম মাদ্রাসা ও চাঁদনীমুখা মান্নান মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
১২নং গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার সুযোগ্য পুত্র আলহাজ্ব জি এম মাছুদুল আলম বলেন, তিনি গরীব,অসহায়,মেহনতি মানুষের পাশে বিপদে আপদে সর্বক্ষণিক এগিয়ে আসতেন ও খোঁজ খবর নিতেন সব সময়।
বস্ত্রহীন কে বস্ত্র দিয়েছেন,ক্ষুধার্ত কে খাওয়ানো সহ ভুমিহীন কে ভুমি দান করে গৃহনির্মাণ করে দিয়েছেন। নিজিস্ব জমিতে শত শত ভূমি হীন কে বসবাসের উপযুক্ত ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজ হাজারও মানুষ ও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা যথাযথ মর্যাদার সাথে আলহাজ্ব সোহরাব আলী সাহেবের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করেছেন। তিনি আরো বলেন, ব্যাক্তি জীবনে স্কুলে-কলেজে পড়তে না পারলেও শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি অসাধারণ কৃতিত্ব রেখে গেছেন। নির্মাণ করেছেন নিজ অর্থায়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান ।প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকে যত দিন পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন শ্রম-অর্থ ও নিজিস্ব জমি দান করে গেছেন এবং বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দিরে নিজিস্ব অর্থ এবং জমি দান করে গেছেন। আমার পিতার জন্য আপনারা মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করবেন ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন-(আমিন)
অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনা করেন,চাঁদনীমুখা মান্নান মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহসীন হোসাইন। দোয়া ও মোনাজাত করেন, চাঁদনীমুখা পরীজান আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply