,

দুইটা ভোট পেয়ে মাথা খারাপ হয়ে গেছে, নিজেকে সংযত করুন — সাদিক কায়েমকে মাসুদ কামাল

ডেস্ক রিপোর্টঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েমকে সংযত হতে বললেন সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল। শেখ হাসিনার রায় ইস্যুতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০১ শিক্ষকের দেওয়া বিবৃতি ঘিরে সাদিক কায়েমের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন মাসুদ কামাল।

তিনি বলেন, হঠাৎ করে বিপ্লবী হয়ে গেছেন সাদিক কায়েম। দুইটা ভোট পেয়ে মাথা খারাপ হয়ে গেছে।এরকম বহু লোক দেখেছি ভোট পাওয়ার পরে হারিয়ে গেছে। বহু নেতা দেখা হয়ে গেছে। নিজেকে সংযত করেন। যে সুনাম আপনার শুনেছিলাম, সেটা কন্টিনিউ করার চেষ্টা করেন।

বিনয়ীর অভিনয় বেশিদিন করা যায় না। প্রকৃত চেহারা বের হয়ে যায়। সেই চেহারাটা নিজের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে যদি পরিবর্তন করতে না পারেন, সেই চেহারা বেশিদিন ঢেকে রাখতে পারবেন না। মাসুদ কামাল আরো বলেন, খুব সুনাম শুনেছিলাম সাদিক কায়েমের।

খুব ভদ্র লোক। তার যে উত্তেজিত বক্তব্য শুনলাম, কোন কোন শিক্ষককে থাকতে দেওয়া হবে না। বের করে দেওয়া হবে। আপনি কে বের করে দেওয়ার? কে আপনি? ডাকসুর মেয়াদ শেষ হলে আপনি পাবলিক।

তিনি আরো বলেন, ভিন্নমত পোষণ করে বলে, ফ্যাসিবাদের পক্ষে স্বাক্ষর দিয়েছে বলে একজন শিক্ষককে বের করে দেবেন? আপনি কে একজন শিক্ষককে বের করে দেওয়ার? ফ্যাসিবাদের পক্ষে তো আপনিও ছিলেন।

আপনার সাধারণ সম্পাদকও ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিল। চাপে পড়ে, না কোন কারণে ফ্যাসিবাদের পক্ষে স্বাক্ষর করেছে, এ জন্য তাকে বের করে দেবেন? উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার গত ১৭ নভেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের প্রতিবাদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০১ জন শিক্ষক বিবৃতি দেন। এ ঘটনায় সাদিক কায়েম বলেছিলেন, ‘প্রগতিশীল যেসব শিক্ষক খুনি হাসিনার পক্ষে স্বাক্ষর করেছে, তাদের আর বাংলাদেশে রাখা যাবে না। বাংলাদেশ থেকে তাদের নির্মূল করা হবে। আমরা ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। যারা খুনিদের পক্ষে অবস্থান নেবে, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত যার মৃত্যুদণ্ড রায় দিয়েছে, এরকম একজন খুনির পক্ষে যারা অবস্থান নেয়, তাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশে নিমূল করাই হচ্ছে আমাদের রাজনীতি। আমরা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছে এসব শিক্ষকের ক্লাস যেন বয়কট করে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও যেন তাদের চাকরিচ্যুত করে। যারা হাসিনার গণহত্যা নরমালাইজ করতে চায়, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *