,

প্রত্যন্ত রামপালে স্টেম ফেস্ট উপকূলের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তির জয়গান

লায়লা সুলতানাঃ রামপালে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী করে তুলতে আয়োজন করা হলো দিনব্যাপী স্টেম ফেস্ট-২০২৫। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার পেড়িখালি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ উৎসবে ছিল প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট, বিজ্ঞান প্রকল্প প্রদর্শনী, রোবটিক্স প্রতিযোগিতা ও উদ্ভাবনী আইডিয়া পোস্টার প্রেজেন্টেশন।

বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতা অর্জনে আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে বাস্তবায়িত এন্ড আইসিটি স্টেম ফর গার্লস অফ কোস্টাল এরিয়া ( এসআইএসজিসিএ) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই স্টেম ফেস্টের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাগেরহাটের ৭টি স্কুলের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। স্কুলগুলো হল পেড়িখালি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বড়কাটালি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝনঝনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্রীফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রামপাল পাইলট গার্লস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডাকরা বহুমুখি মডেল হাই স্কুল ও পেড়িখালি দাখিল মাদ্রাসা।

ফেস্টে শিক্ষার্থীরা সাসটেইনেবল সিটি, ড্রোন, ফ্লাড এলার্ম সিস্টেম, ভূমিকম্প নির্ণায়ক, ফায়ার ডিটেক্টরসহ ১৬টি বিজ্ঞান প্রকল্প ও ১১টি পোস্টার উপস্থাপন করেন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলো অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে বাস্তবসম্মত সমস্যা সমাধানের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেন।

পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফতাব আহমেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস. এ আনোয়ারুল কুদ্দুস, পেড়িখালি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শেখ সুলতান আহমেদ, বড় কাটালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনাদি রায়, পেড়িখালি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শঙ্কর কুমার সিকদার এবং প্রজেক্ট লিড শাখিরা আফরোজ দীপা।

বড়কাটালি বহুমুখী হাইস্কুলের শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার বলেন, আমাদের এই উদ্যোগ শুধু প্রতিযোগিতার জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতে প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠার প্রথম ধাপ।

প্রকল্পটির আওতায় গত বছর থেকে পেড়িখালি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বড়কাটালি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব বিদ্যালয়ে স্কুল ভিত্তিক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড ও জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হয়েছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে রামপাল উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) আফতাব আহমেদ বলেন, এমন আয়োজন প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। বিশেষ করে মেয়েদের উদ্ভাবনী দক্ষতা বিকাশের এ ধরনের উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে।

দিনশেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়।
আয়োজকদের আশা, ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম উপকূলীয় এলাকার শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের জগতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *