এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর পৌরসভার মধ্যে অপরিকল্পিত ভাবে পানি নিষ্কাশনের নবনির্মিত ড্রেন নির্মান কাজে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অপিকল্পিত ড্রেন নির্মাণে।সরকারের কোটি টাকা ভেসে যেতে বসেছে। শ্যামনগর আকা-বাকা ড্রেন র্নিমান না করে মুক্তিযোদ্ধা সড়কের রাস্তার উপরে সরকারি জায়গায়র দোকান উচ্ছেদ করে সোজা ভাবে
ড্রেন নির্মানের দাবী এলাকাবাসীর।উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌরবাসীর সার্বিক সুযোগ সুবিধা এবং পানি নিষ্কাশনে উপজেলা সড়ক অবকাঠমোর উন্নয়নে প্রায় ১কোটি ০৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৪ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদের গেট হয়ে মুক্তিযোদ্ধা সড়কের উত্তর পাশ দিয়ে গোপালপুর কালভাট পযর্ন্ত ৮৬০ মিটার লম্বা ড্রেন নির্মানের কাজটি শুরু হয়েছে। তবে, ড্রেনের কাজটি আঁকা-বাঁকা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযোদ্ধা রাস্তাটি গোপালপুর পর্যন্ত সোজা সড়কের উপরে সরকারি জায়গায় অবৈধ দোকান করে বসে আছে রাস্তাটি প্রশস্ত করার জন্য
সোজা ভাবে ড্রেন নির্মানের কাজ করার হোক।
কারণ শ্যামনগর উপজেলাটি বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় গঠনমূলক সাজানো উপজেলাটি। সকল অফিস স্কুল,কলেজ হাসপাতাল গুলো সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে আছে। এখানে সাড়ে চার লক্ষ মানুষের বসবাস। তবে রাস্তার পাশ দিয়ে জেলা পরিষদের জায়গায় দোকান ঘর বরাদ্ধ দেওয়ায় চলা-চলের রাস্তটি সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় প্রায় সময় জানজট লেগে থাকে।মুক্তিযোদ্ধা সড়কটি একনেকের সভায় প্রশস্ত করণের ঢালাই রাস্তা করার প্রকল্প পাশ হয়েছে। যার বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু হলে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটি রাস্তার মাঝখানে চলে আসবে। তখন ড্রেনটি জনগনের কোন কাজে আসবেনা।
উপজেলা প্রকৌশলী একেবারে অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেন তৈরির কাজ শুরু করছে। তাতে সরকারের কোটি
টাকার লোকশান গুনতে হবে। বর্তমান সরকার দেশব্যাপি টেকসই উন্নয়ন কাজ চলমান আছে।
উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন এই অপরিকল্পিত কাজের মূল হোতা। বর্তমান উপজেলা
চেয়ারম্যান ও প্রকৌশলী দু’জন মিলে পৌরবাসীর মতামতকে প্রাধান্য না দিয়ে নিজেদের খেয়াল
খুশিমত কাজ করছেন। জনগনের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে খুব দ্রুত পৌর কর্তৃপক্ষের সব ধরনের
অপরিকল্পিত কাজ বন্ধ রেখে সঠিক পরিকল্পনা মাফিক কাজ করার দাবী জানান সূশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।প্রকাশ থাকে যে, শ্যামনগর মুক্তিযোদ্ধা সড়কের দক্ষিণ পাশে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত
ড্রেনটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করায় ছয় মাসের মধ্যেই রাস্তার সাথে মিশে গেছে। বর্তমানে ড্রেনটির কোন অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।
ঠিকাদার আবুল বাসার বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পেয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলির দেওয়া
সিডিউল ও ডিজাইন অনুযায়ী কাজ করবো।
এবিষয়ে এলজিইডি সাতক্ষীরা সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মানিক হোসেন বলেন, এগুলো
দেখভাল এর দায়িত্ব উপজেলার,জেলার দায়িত্ব এগুলো নয় বলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, শ্যামনগর উপজেলা পৌরসভা ঘোষনা করা হয়েছে। আমাদের শেষ কাজ তাই উপজেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি শেষ করতে চাই। আমরা অপরিকল্পিত কাজ করছি না। রাস্তা প্রশস্ত হলে নবনির্মিত ড্রেন রাস্তার মাঝখানে পৌছালেও জনগন তার সুফল পাবে। পৌরবাসীর সমস্যা হয় এমন কাজ আমরা করছি না। মুক্তিযোদ্ধা সড়কের উত্তর পাশ দিয়ে সরকারি জায়গার উপরে অনেকগুলো পাকা দোকান,বসত বাড়ি আছে তা উচ্ছেদ করা আমার কাজ না বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, শ্যামনগরের টেকসই উন্নয়ন কাজে আমি আন্তরিক আছি। তবে, ড্রেনের বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার সহযোগিতা চাইলে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। ড্রেনটি যাহাতে সোজা হয় প্রয়োজনে দোকানপাট উচ্ছেদ করা
লাগলেও তা করা হবে।উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম আতাউল হক দোলন বলেন,পৌরসভায় বর্তমানে একেবারে অপরিকল্পিত ভাবে কাজ চলছে। নবনির্মিত ড্রেন সাধারন জনগনের কোনো কাজে আসবেনা। প্রকৌশলী আনঅভিজ্ঞ একজন ব্যক্তি। তিনি নিজে সেটা স্বীকারও করেছেন। তিনি প্রতিটা কাজেই ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছেন। আমি নিজেও চাই পরিকল্পিত ভাবে পৌর এলাকার চলমান কাজগুলো সুন্দরভাবে করা হোক।সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দার বলেন,বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী ব্যপক উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। শ্যামনগরেও ব্যপক উন্নয়ন হয়ছে। জলবদ্ধতা নিরশনের লক্ষ্যে ড্র্রেন নির্মান কাজটি চলমান। এবং মুক্তিযোদ্ধা সড়ক রাস্তাটি ঢালায়ের কাজ অচিরে শুরু হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যহত থাকায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply