,

বেতাগীতে পারিবারিক কবরস্থানেই হাদিসুরের লাশ দাফন করা হয়েছে

মোঃসাইমুন হাওলাদার,সোলায়মান বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের গ্রামের বাড়ি বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি এসে পৌছায় সোমবার রাত ১০ টায়। সেখানে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
এ সময় হাদিসুরের লাশ দেখতে ভিড় করেন আত্বীয় স্বজন সহ এলাকাবাসী। কফিনের ভেতর পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া হাদিসুরের দেহ দেখে চিৎকার করতে থাকেন মা-বাবা, ভাইবোনসহ স্বজনরা। স্বজনদের বুকফাটা কান্নায় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি এলাকার নারী-পুরুষরা।

নিহত হাদিসুরের ছোটভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স জানান, আগেই দাফনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছিল। রোববার দুপুরে লাশ আসার কথা থাকলেও ইস্তাম্বুলে তুষারপাত থাকায় লাশ আনা সম্ভব হয়নি। আমার ভাইয়ের লাশ সোমবার ১২ টা ছয় ঘটিকায় ঢাকা এসে পৌছেছে। বাচার জন্য যে আমাদের আর কিছুই রইলোনা। এই বলে কান্নায় ভেঙ্গ পরে প্রিন্স।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় বাড়ির পেছনের মাঠে হাদিসুরের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় ইমামতি করেন বেতাগী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা জিয়াউল হক।
এসময় বরগুনা ১ আসনের সাংসদ ধীরেন্দ্রনাথ দেবনাথ শম্ভু, বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান, ইউএনও মো. সুহৃদ সালেহীন, পৌর মেয়র এবিএম গোলাম কবির, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মহা ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ানসহ আত্বীয় স্বজন,পাড়া প্রতিবেশি, এলাকার হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহন করেন।

বেতাগী উপজেলা নিবাহী অফিসার সুহৃাদ সালেহীন বলেন, হাদিসুরের পরিবারের এ ক্ষতিপুরন অপুরনীয়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আবেদন জানাই তিনি যেন হাদিসুরের পরিবারে প্রতি খেয়াল রাখেন এবং তাদের আথিক ক্ষতিপুরন দেয়ার জন্য অনুরোদ করছি। আমি মরহুমের আত্বার মাগফিরাত কামনা করি।
বেতাগী উপজেলার কদমতলা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা আতাহার উদ্দিন হাওলাদার ও দাদি মোসা. রোকেয়া বেগমের কবরের দক্ষিন পাশে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিস্ফোরণে মারা যান জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *