,

মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্টঃ বাবা-মা-ভাই সব হারিয়ে শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমার বাবা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন সেই চেতনা নিয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, মানুষের উন্নত জীবনের জন্যই কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে এ দেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছিল, সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বাস্তবায়ন করতেই কাজ করে যাচ্ছি।

আজ বুধবার বিকেলে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বিভিন্ন সম্প্রচার মাধ্যম সভাটি সরাসরি সম্প্রচার করে।

জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন বলেই দেশের কাজ করে যেতে পারছি। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই কক্সবাজারের মানুষও ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আপনাদের ভোট বৃথা যায় নাই।

তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাদের শান্তি র‍্যালিতে দিনেদুপুরে গ্রেনেড হামলা করে তারেক-খালিদা জিয়া গং। যুদ্ধের ময়দানের গ্রেনেড আমাদের ওপর ছোড়া হয়েছিল। আইভী রহমানসহ ২২ জন নেতাকর্মী মারা যায়। আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে গিয়েছিলাম।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হয়। শুরুতেই বক্তব্য দেন জনসভার সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুর ইসলাম চৌধুরী।

জনসভাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। ব্যানার-ফেস্টুন আর তোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে কক্সবাজার। নেতাকর্মীরা দলে দলে মিছিল ও স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশস্থলে আসেন। তাদের মধ্যে দেখা গেছে উৎসবের আমেজ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি আয়োজনে অংশ নিতে একদিনের সফরে আজ সকালে কক্সবাজার পৌঁছান। বেলা সাড়ে ১০টায় ইনানী সমুদ্রসৈকতে তিনি আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ উদ্বোধন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *