,

মুন্সীগঞ্জে নুরুল কুরাআন হাফিজিয়া মাদ্রসার শিক্ষককে নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের জাল

শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ সুন্দরবন নুরুল কুরাআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষককে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় কিছু স্বার্থ নিষি মহল তার বিরুদ্ধে নানা ধারণের অপপ্রচার চালাছে। ২০১৯ সালে মাদ্রসার শিক্ষক হাফেজ আবু সাঈদ তার নিজ বাড়ীতে এলাকার গরীব অসহায় মানুষের ছেলেদের কুরাআনি শিক্ষা দেওয়ার জন্য মুন্সীগঞ্জ কুলতলিতে সুন্দরবন নুরুল কুরাআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করে।এ প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে পড়াশুনা করে আসছে।মাদ্রাসাটি দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার শ্রেষ্টতম প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম ।এছাড়া এ মাদ্রাসার পড়াশুনার মানও অনেক ভাল। যে কারণে স্থানীয় একটি গুরুপ মাদ্রাসা ও শিক্ষক আবু সাঈদের সুনাম নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।স্থানীয় আব্দুল গফ্ফার বলেন, বাড়ির পাশে মাদ্রাসাটি হওয়ার পর আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে।বাড়ির পাশে থেকে ছেলেরা পড়াশুনা করতে পারে।কিন্তু কিছু মানুষ হুজুরের নামে মিথ্যা লুটাচ্ছে ও মাদ্রাসাটা ধ্বংসের পায়তার চালাচ্ছ। অনেক ছাত্র অভিভাবক বলেন, আমাদের ছেলেরা অনেক মাদ্রাসায় দিয়েছি কিন্তু ভালো পড়াশুনা না হওয়ায় এই মাদ্রাসায় দেয়। সেখান থেকে আমাদের ছেলেরা লেখা পড়া ভালো করছে। বিভিন্ন কুরাআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে সফলতা লাভ হয়েছে । মাদ্রাসার পড়াশুনা ও শিক্ষক অনেক ভাল। অধ্যায়নরত মারুফ বিল্লাহ সহ একাধি ছাত্ররা বলেন, আমরা এর আগে অনেক মাদ্রাসায় পড়েছি তারপর এই মাদ্রাসার এসেছি। এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা ও শিক্ষক অনেক ভাল।এ বিষয় ইউপি চেয়ারম্যাল আবুল কাশেম মোড়ল বলেন, অবহেলিত এলাকায় সুন্দরবন নুরুল কুরাআন মাদ্রাসাটা হওয়ার পর এলাকার গরীব মানুষের সন্তানেরা কুরাআন শিক্ষা গ্রহন করতে পারছে। উপজেলার শ্রেষ্টতম প্রতিষ্ঠান তাই কিছু মানুষ মাদ্রার শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে।ভাল কাজ করলে বাঁধা আসবে এটা সত্য।সুন্দরবন নুরুল কুরাআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আবু সাঈদ বলেন, দীঘ দিন বাহিরে শিক্ষকতা করে আসছিলাম।চিন্তা করলাম আমাদের অবহেলিত এলাকা তাই বাড়িতে এসে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত করি।উপজেলার শ্রেষ্ঠতম মাদ্রাসার মধ্যে এটা একটা। কিন্তু কিছু মানুষ এই বিষয়টি ভাল মনে করছে না। যে কারণে আমার নামে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *