এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের কাচিহারানিয়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের ৩৩০ দাগে ২২ শতক দখলে থাকা কৃষি জমি একসনা ডিসিআর পাওয়ার জন্য হাফিজা বেগম গত ১৩/৮ /২৩ তারিখে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর দরখস্ত করেন। তিনি বিষয়টি তদন্ত-পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য উপজেলা সার্ভেয়ার সজল হোসাইনকে নির্দেশ দেন। সার্ভেয়ার তদন্ত পূর্বক গত ৩/৯/২৩ তারিখে দখল ও রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে আবেদনকারীর অনুকূলে ১৪৩০ সনের জন্য একসনা ডিসিয়ার দেওয়া যেতে পারে বলে প্রতিবেদন দেয়। অপর দিকে আমির আলী গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা স্ত্রী রেহেনার নামে একসনার ডিসিআর রয়েছে।তবে চলতি বছরে নবায়ন এখন হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল ইসলাম কে স্বরে জমিনে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। উক্ত নির্দেশের প্রেক্ষিতে সোমবার ১১ মার্চ সকাল ১০ টায় ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা রেজাউল করিম স্বরেজমিনে তদন্ত করেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদনটি এসিলান্ড স্যারের কাছে দেওয়া হবে।
এবিষয়ে আরশাদ আলী গাজীর ছেলে মোঃ শাহজাহান বলেন, আমাদের এই জমি পৈতৃক সূত্রে আমরা বন্টন করে খেয়ে আসছি। জমি প্রায় ৪০ বছর আমাদের দখলে আছে। এতদিন যাবত আমরা জানতাম না জমির ভিতরে ২২ শত খাস আছে। আমার জানার সাথে সাথে সরকারের রাজস্ব দিয়ে একসনা ডিসিআর নেওয়ার জন্য দরখাস্ত করি। আমাদের দরখাস্তটি আমলে না নিয়ে আমাদের প্রতিপক্ষ আমির আলী স্ত্রীর নামে একসনা ডিসিআর দেয়। নতুন বছরের জন্য কোন পক্ষের ডিসিআর নেওয়ার হয়নি। দীর্ঘদিন আমাদের দখল থাকার সত্ত্বেও আমাদের ডিসিআর না দিয়ে বীরব সৃষ্টি করে রেখেছে।বর্তমানে উক্ত খাস জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে উভয়পক্ষ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply