,

শ্যামনগরে চলছে গাছ কাটার মহোৎসব দেখছি বলেও দেখেন না উপজেলা প্রশাসন

ডেস্ক রিপোর্টঃসাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদী সংলগ্ন বড় কুপোট গ্রামে সামাজিক বনায়নের গাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে গাছ নিধনের মহোৎসব চলছে। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৈদ্য বাড়ি খেয়া ঘাট থেকে নওয়াবেকী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে সামাজিক বনায়নের কর্মসূচি চলমান। স্থানীয় একটি সংগঠন ও সামাজিক বনায়ন একত্রে বনায়ন কার্যক্রম শুরু করেন। একটা পর্যায়ে সামাজিক বনায়নটা পূর্ণাঙ্গ বনে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে কিছু ভূমিদস্যুরা বন উজাড় করে দখলবাজিতে মেতে উঠেছে অন্যদিকে কাঠ পাচারকারীরা সামাজিক বন বিভাগের লাগানো গাছ কর্তন করে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছেন। ভূমিদস্যু ও কাঠ পাচারকারী চক্রের এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
আটুলিয়া ভূমি কর্মকর্তা জানান, বিষয়টা আমার নোলেজে আছে, এসিল্যান্ড স্যার কেউ জানানো হয়েছে। ওটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের শ্যামনগর এস ও কে জানিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় তো আমি নিষেধ করতে পারিনা তারপরে নিজের নিষেধ করেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও মাসুদ রানা সব দায় ভূমি কর্মকর্তার উপরে চাপালেন।
উপজেলা নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, আমরা ইতিপূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি প্রয়োজন হলে সাতক্ষীরা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা বরাবর জানাবো।
সাতক্ষীরা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা বলেন, আমার অফিস থেকে কাউকে জায়গা লিজ দেয়া হয়নি। বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের জন্য দেওয়া হয়েছে। এ জায়গার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সামাজিক বনায়নের তবে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের জায়গা রক্ষা করব। উচ্ছেদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি লম্বা প্রক্রিয়ার কথা বলেন। তবে প্রত্যেকের মতো তিনিও আশ্বাস দিয়েছেন যে নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধে তিনি লোক পাঠাবেন।
শ্যামনগর উপজেলা সামাজিক বন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, আমি বেশ কয়েকবার তাদের জেলা দায়িত্বরত একচেঞ্জ সাহেবকে ফোন দিয়েছি কিন্তু তিনি বিষয়টি আমলে নেন না। দুজনের সমন্বয়ে শ্যামনগর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু বিষয়টা কোন পর্যন্ত সেটি কারোরই জানা নেই। এমন দায়িত্ব অবহেলার কারণে একটা অঞ্চলে সামাজিক বনায়নের গাছ ধ্বংস করছে ভূমিদস্যুরা। নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরিতে প্রতিনিয়ত হত্যা করা হচ্ছে শত শত গাছ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে এখনই উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি করছেন সচেতন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *