আব্দুল আহাদ,নিজস্ব প্রতিনিধিঃসাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২রা আগষ্ট) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার রামজীবনপুরের কেয়াতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে শাহাজান ও তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে কেয়াতলার একটি বিরোধীয় সম্পত্তি প্রভাব খাটিয়ে জবর দখল করে রেখেছিল। পাঁচ আগস্টের সরকার পতনের পর উচ্চ আদালতের রায় অনুকূলে থাকার দাবি করে একই এলাকার সোহেল রেজা ফরেজ সহ তার পরিবারের সদস্যরা সম্পত্তি দখল করে নেন। আজ ২রা আগষ্ট শনিবার একটি বাস ও একটি সিএনজিচালিত অটোতে চড়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে শাহাজন উক্ত জমি দখল করতে যান। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংর্ঘষের একপর্যায়ে শাহাজানের সঙ্গে থাকা কয়েকজন গুলি ছুঁড়লে প্রতিপক্ষের পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। 

গুলিবিদ্ধ পাঁচজন হলেন মোঃ আব্দুল মালেক গাজী (৫০), আরিফুল ইসলাম (১৫), আরিফুল ইসলাম (২৮), আবু সাঈদ (১৫), ও আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৫)। আহতদের শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আব্দুল মালেক গাজীর ভাগনে আরিফুল ইসলাম বলেন, সকল কাগজপত্র তাদের পক্ষে। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত শাহাজান ও তারে লোকজন জমি দখলে রাখেন জবর দখল করে রাখছিলো। সরকার পরিবর্তনের পর নিজেদের জমি দখলে নেই এবং শান্তিপুর্ন ভোগ দখলে আছি হঠাৎ আজ শাহাজান বাসযোগে বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে। এসময় তাদের বাধা দিলে তারা গুলিবর্ষণ করলে পাঁচজন আহত হয়। 

শাহাজানের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে পুলিশের হাতে আটককৃত আশরাফুল ইসলাম জানান, তাদের জমি জোরপূর্বক আব্দুল মালেক ও তার লোকজন দখল করে রেখেছে। আজ শনিবার বংশের লোকজন নিয়ে তারা জমি উদ্ধারে গেলে তাদের ওপর হামলা করে স্থানীয়রা। তবে কে বা কারা গুলি করেছে সে বিষয়ে তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।
 
এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের আশরাফুল ইসলাম (২৫), আমানুল্লাহ ইমন (২৩), মারুফ হোসেন (২২) ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে (২০) শ্যামনগর থানা পুলিশ আটক করেছে। আটক চারজনের মধ্যে দু’জন পুরাতন সাতক্ষীরা ও দুজন সখিপুর নামক এলাকার বাসিন্দা।