,

শ্যামনগরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারপিট আহত-১ থানায় অভিযোগ

এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ শ্যামনগরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারপিটে রমাজাননগর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের মোশলেম গাজী আহত হয়ে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,উপজেলার রমাজাননগর ইউনিয়নের সোনাখালীতে মৃত জবেদ আলী গাজী পুত্র নুরুজ্জামান গাজী, খাইরুল বাশার মেহেদী হাসান, নুরুজ্জামানের স্ত্রী খায়রুন নাহার সহ অজ্ঞাতনামা তিন চারজন আসামির বাড়ি ও আমার বাড়ি একই সাথে এবং পাশাপাশি। আসামিগণ আইন অমান্যকারী যবর দখলকারী কলহ প্রিয়,দূর্দান্ত ও দূর্ধর্ষ প্রকৃতির। ১নং আসামী নুরুজ্জামান সম্পর্কে আমার ভাগ্নে হয়। সে তার মায়ের প্রাপ্য ০.০৩ একর ফারায়েজী সম্পত্তিতে বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস করে। তারপরেও এক নম্বর আসামি আমার ও আমার আপন ভাই মোসলেম গাজীর ভোগ দখলীয় সম্পত্তির মধ্যে তার মায়ের ফারায়েজী কিছু সম্পত্তি পাবে মর্মে দাবী করে জবর দখলের জন্য প্রায় সময় অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। বিষয়টা নিয়ে এলাকায় একাধিকবার বসবাস করা হলেও এক নাম্বার আসামীর অনিহার কারনে সুষ্ঠু সমাধান হয়নি। যার কারণে উক্ত আসামির সাথে আমাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধের জের ধরে এবং সকল আসামিগণ পরস্পর যোগসাজস পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনদের প্রায় ভাইভীতি দেখায় ও হুমকি ধামকি দেয়। এমতবস্থায় ৩১ অক্টোবর আনুমানিক পৌনে বারোটার সময় আমার আপন ভাই মোসলেম গাজী লোকজন নিয়ে পাওয়ার টিলার দ্বারা তার বসতঘরের দক্ষিণে সবজি খেতে চাষ করতে থাকে। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপরোক্ত আসামিগণ হাতের ধারালো দা লাঠি লোহার রড সাবল ইত্যাদিতে সজ্জিত হয়ে ওই সম্পত্তিতে প্রবেশ পূর্বক আমার ভাইয়ের চাষ কাজে বাধা দেয়। আমার ভাই মোসলেম গাজী প্রতিবাদ করলে পরস্পর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এক নাং আসামির হুকুমে উপরোক্ত আসামিগণ আমার ভাইকে যে যার মত মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। একপর্যায়ে ১ নং আসামি তার হাতে থাকা ধারালো দা দ্বারা খুন করার উদ্দেশ্যে আমার উক্ত ভাইয়ের মাথায় আঘাত করলে সে বাম হাত দ্বারা ঠেকানোর ফলে উক্ত হাত দ্বারা ঠেকানোর ফলে দায়ের কোপে তার বাম হাতের পোচার ভিতরাংশে লেগে মারাত্মক গুরুতর গভীর ক্ষত হারকাটা রক্তাক্ত জখম হয়ে সবজি ক্ষেতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় দুই নাম্বার আসামী খাইরুল বাশার ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তার হাতে থাকা দা দ্বারা খুন করার উদ্দেশ্যে ভাইয়ের মাথায় আঘাত করলে ভাই ডান হাত দ্বারা ঠেকানোর ফলে উক্ত দায়ের কোপ ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল ও তর্জুনী আঙ্গুলের মাঝখানে লেগে মারাত্মক গুরুতর গভীর হারকাটা রক্তক্ত জখম হয়। ঐ অবস্থা তিন নাম্বার আসামী লোহার রড দারা এবং অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন লাঠি দ্বারা খুন করার উদ্দেশ্যে ভাইকে উপর্যপুরী শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। ফলে আমার ভাই মুসলিম উদ্দীন গাজীর মেরুদন্ডে, ডান পায়ের উরুতে হাড় ভাঙ্গা যখম সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো শিরা রক্ত জমাট জখম হয়। অতঃপর এক ও দুই নাম্বার আসামি খুন করা উদ্দেশ্য আমার উক্ত ভাইয়ের গলায় গামছা পেঁচিয়ে দুই মুখ টেনে শ্বাসরোধ করে হরতার চেষ্টা করে। আসামিদের উক্তরূপ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখে আমি সহ সোনাখালী গ্রামের মৃত আশরাফ হোসেন গাজীর পুত্র আসিফ হোসেন, শাকিল হোসেন, ভৈরব নগরের হামিদপাড়ের পুত্র শাহজাহানপাড় সহ আরো অনেকে তথায় হাজির হয়ে আসামীদের গুরুতর যখম অবস্থা উদ্ধার করি। এ সময় সকল আসামিগণ এ ব্যাপারে কোথাও কোনো মামলা-মোকদ্দমা করলে আমাদের অন্যান্য জমির জবর দখল করে নিবে, পাতা ঘাটে বের হতে দেবেনা,মারপিট করে হাত-পা ভেঙে দেবে,মিথ্যা মামলা দিয়ে হারালি করবে, ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার ভয়ভিতি দেখাতে দেখাতে চলে যায়। অতঃপর স্বাক্ষীদের সহায়তায় গুরুতর যখন অবস্থায় আমার ভাই মোসলেম গাজীকে চিকিৎসার জন্য শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। ভাইয়ার চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় আমার বলামতে লেখা এজাহারখানা বংশীপুর গ্রামের ওয়াজেদ গাইন এর পুত্র আব্দুল করিম গাইনের মাধ্যমে থানায় বিলম্ব হয়।

এবিষয়ে শ্যামনগর অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *