,

শ্যামনগর প্রেসক্লাবে ঝাপা সংগ্রামী যুব ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলন

এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ বিজয়া দশমীতে দশ হাজার দেশীয় গাছের চারা বিতরণ করবে ঝাঁপা সংগ্রামী যুব ফাউন্ডেশন
দেশের দক্ষিন-পশ্চিম উপকূলীয় উপজেলার জলবায়ু সংকটে আক্রান্ত সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে থেকে তাদের উন্নয়নে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে ঝাঁপা সংগ্রামী যুব ফাউন্ডেশন। সংগ্রামী যুব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জীবন জীবিকা উন্নয়ন, খাবার পানির ব্যবস্থা, মিষ্টি পানির আধার সুরক্ষা,পরিবেশ সংরক্ষণ ও ভেড়িবাধ,সুরক্ষায় বৃক্ষরোপন, সুন্দরবন সংরক্ষন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষের জীবন রক্ষা এবং সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করছেন। এরই ধারা বাহিকাতায় শুভ বিজয়া দশমীতে দশ হাজার দেশীয় গাছের চারা বিতরণ করবে ঝাঁপা সংগ্রামী যুব ফাউন্ডেশন।বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব হল রুমে লিখিত সংবাদ সম্মেলন পাঠ করেন ঝাঁপা সংগ্রামী যুব ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক তাপস কুমার মন্ডল।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন,সমুদ্র পানির উচ্চতা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমাদের উপকূলীয় এলাকার বাঁধগুলো ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে আমাদের কৃষিজমিকে লবনাক্ত করে ফেলেছে। ফলে এই অঞ্চলের কৃষিভিত্তিক জীবন জীবিকা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। জলবাযুর পরিবর্তনের কারণে এই এলাকায় লবনাক্ততার পরিমান দিনদিন বেড়েই চলেছে। দিনযত যাচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে উপকুলীয় অঞ্চলের জীবন জীবিকা ততটা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। আর্থিক,সামাজিক দুরাবস্থার কারনে উপকুলীয় এলাকায় মানুষের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ন করে তুলছে। নদীর বাঁধভাঙন, লবনাক্ততা বৃদ্ধির ফলে মানুষের সম্পদের পরিমান কমে যাচ্ছে ফলে তাদের মধ্যে নানা ধরনের দ্বন্দ সংঘাতের ঝুঁকি আরও বেড়ে গিয়ে সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হতে পারে। এর পাশাপশি পরিবেশের ক্ষতির কারনে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর সরাসরি নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকা যেমন কৃষি, মৎস্য বনজ সম্পদ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের উপর মানুষের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ন করে দিতে পারে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান স্বাভাবিক করণে সংগ্রামী যুব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সামাজিক বনবিভাগ ও বারসিকের সহায়তায় নদীর চরে প্রায় ১০ লক্ষ কেওড়া, বাইন, কাঁকড়া, গোল গাছ লাগানো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের সমস্যাকে দিনদিন জটিল করে তুলেছে। একই সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি তৈরীর পাশাপাশি দ্বন্দ সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই সমস্যা সমাধোনে স্থানীয় যুবসমাজ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিক ভাইয়েরা তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এই দ্বন্দ্ব সংঘাতের রুপান্তর ঘটিয়ে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। কারণ সকল মানুষ দ্বন্দ্ব সংঘাতের পরিবর্তে শান্তি চায়। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একদল যুবসমাজ ও দক্ষ সাংবাদিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে যারা সব সময় শাান্তির বানী প্রচারের মাধ্যমে সমাজকে আরো স্থায়ীত্বশীল করতে পারে। ঝুকিপূর্ন অঞ্চলের ঝুকিপূর্ন মানুষের জীবণমান উন্নয়নে সংগ্রামী যুব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দশমির দিনে স্থানীয় মানুষের মাঝে ১০ হাজার ফলজ (কদবেল, শ্রীফল, ডাবো, চালতা, কদম, তেঁতুল, লেবু, আমলকি, করমচা, পেয়ারা, আশফল) গাছের চারা বিতরণ করা হবে। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার শুভ দশমীতে দশ হাজার দেশীয় গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচীতে আপনাদের সদয় সহযোগিতা ও উপস্থিতি আমাদেরকে আরো বেশী অনুপ্রাণিত করবে। আমরা মনে করি জলবায়ু দুর্গত এই সময়ে উপকূল সুরক্ষায় দশমীতে বিতরণ করা এই গাছ গুলো আমাদের দশের গাছ হয়ে সবাইকে সুরক্ষিত রাখবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনসংগঠনের সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম , বারসিকের আঞ্চলিক সম্বয়য়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার,বারসিকের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ঝাঁপা সংগ্রামী যুব ফাউন্ডেশন সভাপতি ও সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *