,

সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার (০২ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আসুন, আমরা নৈতিকতা ও সততার সঙ্গে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সত্য সম্পর্কে প্রতিবেদনকারী সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন। তাদের কাজকে অবশ্যই রক্ষা এবং গ্রহণ করতে হবে, কোনোভাবেই দমন করা যাবে না। বাংলাদেশে আমরা সাম্প্রতিক ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী শাসকের পৃষ্ঠপোষকতায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিয়মতান্ত্রিক অবক্ষয় দেখছি। সেই অন্ধকার বছরগুলোতে অবিস্মরণীয় সাহস ও প্রতিশ্রুতির সঙ্গে অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক দুর্নীতি, মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন এবং আর্থ-সামাজিক ব্যর্থতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেছিলেন, যা রাষ্ট্র দ্বারা সংঘটিত হয়েছিলো। এই সাহসী সাংবাদিকরা মূলধারার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, দেশ-বিদেশে সর্বত্র সত্য অনুসন্ধানে অবিচল ছিলেন। তারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্নে অবিচল ছিলেন এবং মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার রক্ষায় অবদান রাখেন।

তিনি আরও লেখেন, বিএনপি এমন এক নতুন ধারার সাংবাদিকতা থেকে অনুপ্রেরণা নেয়, যেখানে সর্বোচ্চ নৈতিকতা ও পেশাদারিত্ব বজায় থাকে। আমরা এমন সাহসী ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতাকে সম্মান করি, যা আমাদের দলের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে নাও মিলতে পারে। আমাদের বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করে। নিরপেক্ষ ও সৎ সাংবাদিকতা রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে জনস্বার্থে কাজ করে। আমাদের যদি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হয়, তাহলে অবশ্যই সাংবাদিকতার স্বাধীনতা বজায় রাখতে হবে। আসুন আমরা সমস্ত মতপার্থক্যকে একপাশে সরিয়ে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলি যেখানে নির্বাচিত, জবাবদিহিমূলক সরকারগুলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং সংবাদমাধ্যমসহ সকলের জন্য আইনের শাসন নিশ্চিত করবে।’

উল্লেখ্য, পোস্টে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত দলের সবশেষ জাতীয় কাউন্সিলের আদলে অঙ্কিত একটি কমিক চিত্র সংযুক্ত করেন তিনি। চিত্রটি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ক্যারিকেচার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *