নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ডা.শফিকুর রহমানের বক্তব্যের মূল সুর ছিল নেতৃত্বের সজাগতা, দায়িত্বশীলতা এবং নৈতিকতার গুরুত্ব। তিনি সমাজের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব—নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী—এদের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে যে, জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতি তখনই নিশ্চিত হয়, যখন নেতৃত্ব সজাগ, বিবেকসম্পন্ন এবং দায়িত্বশীল থাকে।
তিনি সাংবাদিকদের জাতির বিবেক হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, তাদের সমালোচনা গঠনমূলক এবং জাতির কল্যাণে হওয়া উচিত। পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি নিরপেক্ষ থেকে দেশের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানান, কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ না করার পরামর্শ দেন।
জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ও নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি আদর্শ ও নৈতিকতার ভিত্তিতে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানান। অপরাধ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি সংগঠনকে একটি কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার ওপর জোর দেন।
সম্মেলনে তিনি কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দিকনির্দেশনা দেন। এই আয়োজন সংগঠনের ভেতরে নতুন প্রেরণা সৃষ্টি করেছে এবং একটি উন্নত ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারকে আরো সুদৃঢ় করেছে। কুমিল্লা টাউন হলে আয়োজিত এই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ কুমিল্লা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্যে নেতৃত্বের সজাগতা এবং নৈতিকতার গুরুত্বের পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীর ভূমিকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তাদের অবস্থার পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি জাতির উন্নয়ন ও কল্যাণে নেতৃত্ব, সাংবাদিকতা, এবং পুলিশ বাহিনীর দায়িত্বশীল ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্যে নেতৃত্বের পাশাপাশি সিস্টেমিক সমস্যাগুলোর প্রতি মনোযোগ আকর্ষণের একটি চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়।
পুলিশ বাহিনী, যারা দিনরাত কাজ করে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন, প্রায়ই তাদের ত্যাগ এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য যথাযথ স্বীকৃতি পান না। দুর্নীতির অভিযোগের কারণে তারা জনসাধারণের অসন্তোষের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে। অথচ প্রশাসনিক ও বিচারিক খাতের সিস্টেমিক দুর্নীতি অনেক বেশি গভীর এবং জাতির অগ্রগতিতে বড় বাধা সৃষ্টি করে। পুলিশের দুর্নীতি যেখানে দৃশ্যমান এবং সীমিত, সেখানে এই বৃহত্তর খাতগুলোর দুর্নীতি অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক।
ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্যে উঠে এসেছে, পুলিশের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো জরুরি। তাদের প্রচেষ্টা এবং ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিস্টেমিক দুর্নীতির শেকড় উপড়ে ফেলার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং দক্ষ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে।
এছাড়া, তিনি যে সময়ে পুলিশের অবদান উপলব্ধি করার উদাহরণ দিয়েছেন, তা স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদের শান্তি এবং নিরাপত্তার একটি অমূল্য অংশ। রাজনৈতিক স্বার্থ থেকে তাদের মুক্ত রেখে একটি শক্তিশালী এবং নৈতিক পুলিশ বাহিনী গঠন জাতির জন্য অপরিহার্য। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গি পুলিশসহ পুরো সমাজের প্রতি একটি ইতিবাচক এবং ন্যায়ভিত্তিক মানসিকতার আহ্বান।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply