,

সাতক্ষীরা শ্যামনগরে এক দিনের ব্যবধানে আবারও পরিত্যক্ত অবস্থায় হাসুয়া ও রামদা উদ্ধার

শ্যামনগর প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা শ্যামনগরে নকিপুর গ্রামে এক দিনের ব্যবধানে আবারও পরিত্যক্ত অবস্থায় হাসুয়া ও রামদা উদ্ধার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ।

২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় পৌরসভার নকিপুর গ্রামের, শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি রহমত আলীর বাড়ির উঠানে, বিল্লাল গাজীর পরিত্যক্ত পুকুর থেকে ৩৪ পিচ হাসুয়া ৪ পিস রামদা উদ্ধার করে।
গত একদিন আগে ২০ এপ্রিল একই এলাকার, কালিগঞ্জ
উপজেলা পরিষদের কর্মচারী সাবের মিস্ত্রির পুকুর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৪ পিচ হাসুয়া উদ্ধার হয়।

বিল্লাল হোসেন এর স্ত্রী সুফিয়া সকালে পুকুর পাড়ে কাজ করার সময় বস্তার ভিতরে রক্ষিত অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী বাস্তহারা আলীগের উপজেলা শাখার সভাপতি গাজী মোকছেদ আলী বোন রাশিদা খতুন কে জানালে, তার ছেলে আব্দুর রশিদ নান্টু শ্যামনগর থানা পুলিশ কে সংবাদ দেয়।

এ ঘটনার পরে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সাধারণ মানুষ দূর চিন্তায় দিশেহারা। ওই এলাকার এক নারী মঞ্জুয়ারা বলছিল এদের কাছে কতটা অস্ত্র আছে, গত পরশুদিন পেল এক বস্তা আজকে আবার এক বস্তা আর কতটা অস্ত্র আছে।
 
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে একাডেমিক স্বীকৃতি না থাকলেও
সাবের মিস্ত্রি কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কর্মচারী। সাবেক সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার এর সময় ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে চাকরিটি বাগিয়ে নেয়।  সাবের মিস্ত্রি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে। তার শশুর বাংলাদেশ আওয়ামী বাস্তহারা আলীগের উপজেলা শাখার সভাপতি গাজী মোরছেদ আলী ও শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি রহমত আলী তার শালা, তাদের সংঘবদ্ধ দল এই সকল অস্ত্র পরিদর্শন করে মানুষের ভিতরে ত্রাস সৃষ্টি করত। মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি জমিদখল ঘের দখল মানুষের বসদ ভিটা দখলসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। এই পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি প্রতারণা ও হত্যা সহ একাধিক মামলা রয়েছে।

এলাকাবাসীর দাবি প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে এদেরকে আইনের আওতায়নে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।

এ ঘটনায় শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ  হুমায়ুন কবির মোল্লা ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন পরিত্যক্ত অবস্থায় হাসুয়া উদ্ধার হয়েছে, এ বিষয তথ্য অনুসন্ধান চলছে পাইলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *