মোঃ পারভেজ মিয়া,সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
বৃষ্টি হলেই ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পুরুরা গ্রামের মানুষদের জীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। গ্রামের প্রধান সড়কটি কাদা আর পানিতে একাকার হয়ে পড়ে, সৃষ্টি হয় হাঁটুসমান জলাবদ্ধতা। ফলে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে রাস্তা, যা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে ফেলে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাদেশ সাম মণ্ডলের বাড়ি থেকে শুরু করে পুরুরা সাধুর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির অবস্থা অত্যন্ত করুণ। কাঁদা ও পানিতে ডুবে থাকে পুরো রাস্তা। প্রায় ৩ শতাধিক পরিবারের বসবাস এই এলাকায়, আর প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে প্রায় ৭ শতাধিক মানুষ। কিন্তু এই একমাত্র রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সবাইকে। নেই কোনো বিকল্প পথ রাস্তার। কর্দমাক্ত অবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীরা।
স্থানীয় শিক্ষার্থী শাকিল মাতুব্বর বলেন, বৃষ্টির দিনে স্কুলে যাওয়া খুব কষ্টকর। কাদা পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয় সব সময় থাকে। এমন কি ক্লাসে ঠিকমতো উপস্থিত হতে পারি না।
মাস্টার সুকুমার মন্ডল জানান,গ্রামের এই রাস্তায় কোন অ্যাম্বুলেন্স বা গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। কেউ অসুস্থ হলে কাঁধে করে কাদামাটি পেরিয়ে হাসপাতালে নিতে হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের সময় নানা আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পর কেউ আর এই রাস্তাটি সংস্কারে নজর দেন না। বছর যায়, জনপ্রতিনিধি বদলায়, কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় না। ভোটের সময় শুধু আশ্বাস মেলে, কাজের সময় কেউ দেখেও না এই রস্তার দিকে, বলেন গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা। এই এলাকায় বৃষ্টি যেন এক আতঙ্কের নাম। কারণ সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা রূপ নেয় জলাশয়ে। রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল তো দূরের কথা, খালি পায়েও হাঁটাচলা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। ফলে লোকজন প্রায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েন। পুরুরা গ্রামের মানুষদের প্রাণের দাবি—রাস্তাটি দ্রুত পাকা করা হোক। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে তারা আকুল আবেদন জানিয়েছেন যেন বর্ষা মৌসুমে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মেলে।
এ ব্যাপারে ভাওয়াল ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মিয়ার মুঠোফোনে কল দিলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply