,

সুন্দরবনে মধু আহরণ শুভ উদ্বোধন করলেন এমপি আতাউল হক দোলন

এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃউদ্ভাবনায় বন,সম্ভাবনায় বন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় সাতক্ষীরা রেঞ্জ পশ্চিম সুন্দরবনের মধু আহরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ১ লা এপ্রিল সকাল ১১টায় বুড়িগোয়ালিনী ৭১ নং ফরেস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাতক্ষীরা রেঞ্জ,সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ খুলনার আয়োজনে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড.আবু নাসের মোহসিন হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন।স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সহকারী বন সংরক্ষক রেঞ্জ কর্মকর্তা,পশ্চিম বন বিভাগের এম.কে.এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আবুউব ডলি, শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, রমজানগর ইউপি চেয়ারম্যান আল-মামুন,কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম,বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম,বিদেশি পর্যবেক্ষক,গণমাধ্যম,সুধীজন,মধু মালরা।
উক্ত অনুষ্ঠানে দুই জন মৌয়ালয়ের হাতে মধুর পারমিট তুলে দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশন শেষ করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ সুন্দরবনের মধ্যে কদমতলা ফাঁড়ির পাশে একটি মধুর চাক আনুষ্ঠানিকভাবে কেটে উদ্বোধন শেষ করেন।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, সুন্দরবনের নদ-নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরার পাস (অনুমতি) নিয়ে জেলেদের ছদ্মবেশে মধুচোর চক্র প্রবেশ করছে। মৌসুমের আগেই বনে ঢুকে চুরি করে তারা ৪০-৫০ ভাগ মধু আহরণ করে ফেলছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা চুরি করে মধু সংগ্রহ ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলে স্বীকারও করেছেন। লোকবল সংকটের কারণে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় মধু চুরি ঠেকাতে পারছেন না বলে দাবি তাদের।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা নূরুল আলম বলেন, ১ এপ্রিল থেকে মধু আহরণ শুরু হয়। কিন্তু তার আগেই চুরি করে একাধিক চক্র মধু আহরণ করছে। চুরি বন্ধ করতে হলে মধু আহরণের দুই মাস সুন্দরবনের নদ-নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরার পাস (অনুমতি) বন্ধ রাখতে হবে। নূরুল আলম আরও জানান, যে চাকে কমপক্ষে পাঁচ কেজি মধু পাওয়া যেত, এপ্রিলের আগে মধু আহরণ করলে ওই চাকে ৫০০ গ্রামের বেশি মধু পাওয়া যায় না। সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে এপ্রিল-মে মাসে যে পরিমাণ মধু আহরণ হয়, চুরি করে আগেই তার ৪০-৫০ ভাগ মধু আহরণ করছে এসব চক্র। লোক বল সংকটের কারণে চুরি ঠেকাতে পারছেন না বলে এই কর্মকর্তা অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।তিনি আরও জানান, প্রতিটি নৌকায় সর্বোচ্চ ১০ জন মৌয়ালি অবস্থান করতে পারবেন। একজন মৌয়ালি ১৫ দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ কেজি মধু ও ১৫ কেজি মোম আহরণ করতে পারবেন। ১৫ দিনের বেশি কোনো মৌয়ালি সুন্দরবনে অবস্থান করতে পারবেন না। এ বছর ১ হাজার ৫০০ কুইন্টাল মধু এবং ৪৫০ কুইন্টাল মোম পাওয়ার আশা করছে বন বিভাগ।অপরদিকে সুন্দরবনের চিহ্নিত হরিণ শিকারি ও বিষ দিয়ে মাছ শিকারি ২৪ জন জেলে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *