মোঃ আবুল বাসার,নিজস্ব প্রতিনিধি,নোয়াখালীঃনোয়াখালী সুবর্ণচরে এক ব্যবসায়ীকে গভীর রাতে ডেকে নিয়ে মারধর ও ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চরজব্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মোশারেফ মাঝি।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের কাটাখালী ঘাট সংলগ্ন কালাম সওদাগরের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মোশারেফ জানান, তিনি কাটাখালী ঘাট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে তেল-মবিল বিক্রি ও মালবাহী বলগেট ব্যবসা করে আসছেন। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ঘাট সংলগ্ন প্রায় ৩৭৫ শতাংশ জমি তিনি এক বছরের জন্য বন্ধক নেন। কিন্তু আসামী আব্দুল রতন বেপারী জোরপূর্বক ওই জায়গা ব্যবহার করে নদী থেকে মালামাল ওঠানামা করছিলেন। তাকে নিষেধ করলেও তিনি তা মানেননি।
মোশারেফের দাবি, গত ২৩ নভেম্বর রাতে রতন তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন গভীর রাতে ‘সমাধান’ করার কথা বলে তাকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে ঘিরে ফেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, লাথি মেরে গুরুতর জখম করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় সন্ত্রাসী আকবর হাতে থাকা লম্বা টর্চলাইট দিয়ে মোশারেফের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে, এতে তার শরীর থেঁতলে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এ সময়
হামলাকারীরা তার গায়ের শীতের জামা ও পাঞ্জাবি খুলে নেয় এবং পাঞ্জাবির পকেটে থাকা ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে দ্রুত কেটে পড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, রতন বেপারী নামক যে ব্যক্তির যোগসাজশে এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে সে আগে আওয়ামীলীগ করত এবং আওয়ামী লীগের পতনের পর সে বিএনপির পরিচয় দেয়। বিএনপি’র পরিচয় দিয়ে সে চাঁদাবাজি, চোরা চালানি ও মাদক ব্যবসার কারবার করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছে। তার ভয়ে ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ও সাধারণ জনগণ আতঙ্কে থাকে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাজারের ব্যবসায়ী এবং এলাকার লোকজন অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছে। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মোশারেফ মাঝি বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আবুল বাশার বেপারীর ছেলে আব্দুল রতন বেপারী (৫৭), আব্দুল হাইয়ের ছেলে সাবেক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ রাসেদ (৪৩), একই ওয়ার্ডের যুবদলের সভাপতি মোঃ রহিম (৩৮), আহসান উল্যার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫), একই এলাকার মোঃ কবির (৪০), আকবর (৩৮), আলা উদ্দিন বেপারী (৪৬), জুয়েল টেইলার (৪২), মাইন উদ্দিন (৪৫), মোঃ মোতালেব (৪২) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫–২০ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
চর জব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন মিয়া বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটির তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply