,

১১ কোটি নাগরিকের তথ্য ২০ হাজার কোটি টাকায় বিক্রি : ডিএমপি

অনলাইন ডেস্কঃ
২০ হাজার কোটি টাকায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ১১ কোটির বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ডেটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তালেবুর রহমান বলেন, নাগরিকদের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্যগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বাণিজ্যিকভাবে কেনাবেচার মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন তথ্য প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে। এতে অনেকগুলো সংস্থা জড়িত আছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের যারা জড়িত ছিল তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। কম্পিউটার কাউন্সিল ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে যে তথ্যগুলো বিক্রি বা হস্তান্তর করেছে, সেটা কোন আইনে, কিসের মাধ্যমে, কি স্বার্থে করেছে সেটা উদঘাটন করা হবে।

তালেবুর রহমান বলেন, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর এনআইডি যাচাই সভা গ্রহণ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়। ওই চুক্তির দুই অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নির্বাচন কমিশনের তথ্য-উপাত্ত কোনো অবস্থাতেই কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিনিময় বা বিক্রি করতে পারবে না। সেটি লঙ্ঘন করে কম্পিউটার কাউন্সিল ডিজিকনের সহায়তায় বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেছে। কারা কীভাবে লাভবান হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখছি।

মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, তথ্য চুরির ঘটনায় ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ এজাহার নামীয় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৫ থেকে ২০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন— ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেসের পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহবুবুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক (অপারেশন্স) আবদুল বাতেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী আশরাফ হোসেন, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) লেফট্যানেন্ট কর্নেল (অব.) রাকিবুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম।

এটি নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য এক বিপজ্জনক সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ চুরির ঘটনা কীভাবে ঘটেছে ও এর পরিণতি কী হতে পারে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা জারি করেছেন। এটি একটি গুরুতর বিষয় এবং দেশের জনগণের নিরাপত্তা ওপর প্রভাব ফেলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *