,

স্বপ্নের ফেরিওয়াল

সেকেন্দার সাহেব

একটু একটু করে আমি শিখেছি, সময়কে জেনেছি, যতটা আমার সাধ্যে রয়েছে সবকিছুতেই তার চেয়ে বেশিই পদচারনা করেছি ।
আমার সাধ্যে রয়েছে রাতের সীমাহীন কালচে নীল আকাশের ধূসর কালো মেঘমালা দেখার, রাতের ঝুমঝুম বৃষ্টি এক দৃষ্টিতে অবলোকন করার, নিশ্চুপ অন্ধকারের মাঝে নীরবে দাড়িয়েঁ থাকার………………………..
কিন্তু আমি তো চাইলেই ধূসর কালো মেঘমালা, ঝুমঝুম বৃষ্টি, নিশ্চুপ অন্ধকার উৎপন্ন করতে পারবো না, আমার সকল ইচ্ছা অনিচ্ছা তো সেই জন্মকাল থেকেই বন্দী ।

একজন মানুষকে যদি ঘুটঘুটে অন্ধকার একটি গুহার ভিতর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বন্দী করে রাখা হয় আর সেই অন্ধকার গুহার চারিদিক যদি মৃত্তিকার বদলে থাকে অথৈ জল, তখন ঔ বন্দী মানুষের মনের অবস্থাটা কেমন হবে তা কোনভাবেই বোঝা সম্ভব নয় । কিন্তু কেন জানি মনে হয়, এই বিশাল প্রকৃতির মাঝে আমি এমনই ভাবে বন্দী………….!

কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে, রাত নাকি দিন ভালো লাগে….?
আমি বলবো, রাত । এরমানে এই নয় যে, আমি রাতের ঝকঝকে তাঁরাগুলোকে ভালো লাগার কথা বলছি, রাতের জোনাঁকীর গায়ে আলো নিয়ে ছোটাছুটির কথা বলছি, রাতের আকাশে নির্বোধের মত ঝুলে থাকা চাদেঁর কথা বলছি…!
আমার শুধু রাতকেই ভালো লাগে, রাতের উপকরণসমূহকে নয়…………..!

রাতের অন্ধকারের মাঝে আমি যখন একা হেটেঁ এসে দাড়াঁই, রাত বুঝি তখন আমায় গ্রাস করে তার কাল্পনিক পেটে নিয়ে গিয়ে দাড়ঁ করিয়ে রেখেছে…..!
আমার জীবনের শীর্ষভাগ স্বপ্ন আমি জেঁগে জেঁগে রাতের অন্ধকারের মাঝে জন্ম দিয়েছি । তাই আজ আমি পুরুষ হয়েও রাতের স্বপ্নের মা হয়ে দাড়িঁয়েছি ! চারিদিক তাকিয়ে আমি এমনটাই অনুভব করি……..!
আমার স্বপ্নের পরিমান আজ এত বেশি হয়ে দাড়িঁয়েছে যে, আগামীতে আমাকে স্বপ্ন ফেরী শুরু করতে হতে পারে…………..।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *