,

সাজানো মামলার ভিকটিম কতৃক শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন”

এম,কামরুজ্জামান,শ্যামনগর উপজেলার প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম (আবিয়ার) এর নাম সাজানো মামলার ভিকটিম কতৃক আসামীদের মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার দাবিতে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার ১৫ জুলাই বেলা ১২টায় প্রেসক্লাব হলরুমে সাংবাদিক সম্মেলন পাঠ করেন, কালিগঞ্জ
উপজেলার মাগুরালী গ্রামের মোঃ আলাউদ্দিন গাজীর মেয়ে মোছাঃ কনা পারভীন।তারদের লিখিত বক্তব্যে বলেন,আমার বয়স যখন ২ বছর তখন আমার পিতা-মাতার মধ্যে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হওয়ায় আমি শিশু কাল থেকে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের কলবাড়ী গ্রামের আহম্মাদ গাজীর স্ত্রী আমার নানী মোছাঃ জহুরা খাতুনের অধীনে লালিত পালিত হয়েছি। একই এলাকার দাতিনাখালী গ্রামের মোঃ শাহাজান আলী গাজীর স্ত্রী মোছাঃ রাবেয়া খাতুন আমার নানী জহুরা খাতুনের ভাইয়ের স্ত্রী। আমার নানী জহুরা খাতুনের বাড়ী থেকে আমার নানীর ভাই মোঃ শাহাজান আলী গাজীর বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিলাম।

আমি শাহাজার আলী গাজীর বাড়ীতে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে প্রায় ৭/৮ দিন ছিলাম।
এমতাবস্থায় রাবেয়া খাতুন সহ তার এলাকার প্রাক্তন ইউপি সদস্য পশ্চিম পোড়াকাটলা গ্রামের মৃত কওছার মোড়ল ছেলে মোঃ কামরুজ্জামান মোড়ল আমাকে বেড়ানোর জন্য শ্যামনগর গোপালপুর পিকনিক কর্ণারে নিয়ে আসার কথা বলে। কিন্তু তারা পরস্পর যোগ সাজসে আমাকে ভুল বুঝিয়ে শ্যামনগর থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এবং বলে যে, তাদের সাজানো কথা না বললে আমাকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং গায়ের করার কথা বলে।মোছাঃ রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে আমাকে ভিকটিম সাজিয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ রাত্র অনুমান ৯ টার সময় পশ্চিম পোড়াকাটলা গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলাম ছেলে ইউপি সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম (আবিয়ার) দাতিনাখালী গ্রামের শহিদুল্লাহ গাজীর ছেলে হাসানুল ইসলাম,ফিরোজ সরদারের ছেলে আবু নাঈমকে ধর্ষণের ঘটনায় আসামিকে করে শ্যামনগর থানায় গত ১৩ই জুন ৩৩ নং ধর্ষণ মামলা করে। সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান মোড়লের প্রতিদ্বন্দি মোঃ শহিদুল ইসলাম(আবিয়ার)কে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কামরুজ্জামান মোড়ল মোছাঃ রাবেয়া খাতুনকে ব্যবহার করে লোভ লালসা দেখিয়ে উক্ত মিথ্যা মামলা করাতে বাধ্য করে।মামলার ১নং আসামী বর্তমান জেল হাজতে আটক আছে। ২২ ধারায় জবাবন্দি দেওয়ার জন্য মামলার বাদী রাবেয়া খাতুন আমাকে আদালতে তাদের দেওয়া সাজানো তথ্য উপস্থাপনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। আমি যদি তাদের কথামত জবানবন্দি না দেই তাহলে আমাকে মেরে লাশ বানিয়ে দিবে মর্মে হুমকি ধামকি দেয়। আমি আদালতে যেয়ে মিথ্যা জবানবন্দি দিতে বাধ্য হই। মামলার বাদী রাবেয়া খাতুন ও মামলার ১নং স্বাক্ষী সাবেক ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান মোড়ল আমাকে ইতিপূর্বে বলে যে, মামলার আসামীরা যদি মিমাংসা প্রস্তাব দেয় তাহলে আমি যেন তাদের বলি আমার ভবিষ্যতের জন্য দুই বিঘা জমি লিখে দেওয়া লাগবে। তা নাহলে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া লাগবে। যার উপযুক্ত প্রমান স্বরুপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমুতে কল রেকর্ডিং ও ম্যাসেসঞ্জারে লিখিত আছে।আসামীরা মিথ্যা মামলা হতে অব্যহতি পেলে আমার কোন আপত্তি থাকবে না। মামলার বাদী মোছাঃ রাবেয়া খাতুনের অধীনে আমি কখনো দিন লালিত পালিত হয়নি এবং আসামীদের দ্বারা কোন প্রকার যৌন হ্যারানী সহ শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত হয়নি। তা ছাড়া আমার গর্ভে কোন সন্তান জন্ম নেয়নি। ভিডিওতে যাকে ভিকটিম দেখানো হয়ে সেটা আমি না।রাবেয়া খাতুন কর্তৃক উক্ত মিথ্যা মামলা দায়ের করার পর আমার মান সম্মানের তাগিদে কালিগঞ্জ থানাধীন মাগুরালী গ্রামের আমার দাদা কদম আলী গাজী ও দাদী জাহিদা বিবি-দ্বয়ের বসত বাড়িতে অবস্থান করছি।এমতাবস্থায় আপনাদের লিখুনির মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে মাধ্যমে শ্যামনগর থানায় জিআর ৩৩ নং মামলায় সকল আসামীদেরকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *