এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃপ্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এর শ্যামনগর উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন শম্ভুনাথ মালো। তিনি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর পৌরসভার দেবালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা অফিস কতৃপক্ষের যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে গত ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার তাকে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। শম্ভু নাথ মালো এই শ্রেষ্ঠত্বের অর্জনকে শ্যামনগরের শিক্ষকদেরকে উৎসর্গ করেছেন এবং তিনি সকলের নিকট দোয়া ও আশির্বাদ প্রার্থনা করেছেন।শম্ভু নাথ মালো একজন গভীর দেশপ্রেমিক, দক্ষ শিক্ষক, সংগীত শিল্পি, প্রশিক্ষক, তবলা বাদক এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। তিনি কর্মজীবনে শুরু থেকেই নিজের বিদ্যালয় ও শ্যামনগর উপজেলাসহ সারা দেশের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পরে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি ও শিখন গ্রহনে স্বপ্রণোদিতভাবে আগ্রহীকরণ, বিদ্যালয়ের শিখন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত স্থায়ীকরণ, শিক্ষার সামাজিকিকরণে তার উদ্ভাবিত এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কতৃক অনুমোদিত “শিক্ষার্থীর শিষ্টাচার, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ চর্চা” শীর্ষক প্রকল্পটি নিয়ে প্রায় ৭ বছরাধিককাল যাবৎ নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। গবেষণা কর্মটিতে বিশ্বনন্দিত কয়েকজন বিজ্ঞানীর তত্ত্ব ও তথ্য সম্পূর্ণ নতুন ও সহজ পদ্ধতিতে ব্যবহার করেছেন তিনি। গবেষণাটিতে আশাতীত ও অভুতপূর্ব ফলাফল পাওয়া গেছে। প্রকল্পটির বিষয়ে সুশীল সমাজ মনে করেন “এই একটিমাত্র প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক কম খরচে, অনেক কমসময়ে অনেক বেশী ফলাফল পাওয়া তথা প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য উদ্দেশ্যগুলো সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে পুরোপুরিভাবে অর্জন করানো সম্ভব হবে; যে ফলাফল ইতিপূর্বে পাওয়া যায়নি। প্রকল্পটির অতিরিক্ত ফলাফল হিসেবে- শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের আত্মনির্ভরশীলতার বীজবপন ও শিক্ষাজীবনের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধান, পারিবারিক অর্থনীতির অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীলতা আনয়ন, বেকারত্ব দুরীকরণ, ঝরেপড়া রোধ, প্রতিবন্ধী শিশুর জন্মহার হ্রাসকরণ, ইভটিজিং, ধর্ষণ, হত্যা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, পরিবারে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি, শিশুর শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য অপেক্ষাকৃত অধিক হারে নিশ্চিতকরণসহ নানাবিধ সামাজিক সমস্যা দূরীকরণ, সাধারণ খাদ্যের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত অধিকহারে পুষ্টিসাধনসহ স্বাস্থ্যচর্চা, পরিবেশের উষ্ণতার ভারসাম্যসহ পরিবেশ সংরক্ষণ, জাতীয়মানের খেলোয়াড় ও কবি-সাহিত্যক তৈরীর ভিতগঠনসহ নানাবিধ জাতীয় সমস্যার সমাধান ও প্রতিরোধে জাতীয়ভাবে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। যার মাধ্যমে “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার ৪টি পিলারের মধ্যে ৩ পিলারের সফলতা অর্জনে, সকল উন্নয়ন অপেক্ষাকৃত টেকসই রপদানে এবং দেশের সার্বিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করতে পারে বলে আশাবাদী।” উন্নয়নকর্মী ও সুশীল সমাজ প্রকল্পটির পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার জন্য সকল উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply