,

গুলশানে আদম তমিজী হকের বাসায় র‌্যাবের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ফেসবুক লাইভে নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে আলোচনার জন্ম দেওয়া হক গ্রুপের কর্ণধার আদম তমিজী হকের গুলশানের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র‍্যাব। গুলশান আজাদ মসজিদের ঠিক উল্টো পাশে আদম তমিজী হকের বাসা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয় সেখানে অভিযান চলছে।

এর আগে গত সোমবার মধ্যরাতে আদম তমিজী হক শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেরার মুখে পড়েন। দেশ থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য গুটিয়ে বিদেশে চলে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া আদম তমিজী হক লন্ডন থেকে দেশে ফিরলে বিমানবন্দরে তাকে আটক করে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে নিরাপত্তা দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে ৪৫৩০৯২৪৭৪ ফ্লাইটে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকায় আসেন আদম তমিজী হক। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ২৫ জন সদস্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এর আগে এক ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেন আদম তমিজী হক।

বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে এক ফেসবুক পোস্টে তমিজী হক বলেন, ‘শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর তিনি ভিআইপি গেট দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দেয়। এরপর তাকে একটি সাধারণ গেট দেখিয়ে দেওয়া হয়। তিনি সাধারণ গেট ব্যবহারে অস্বীকৃতি জানালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ওপরের নির্দেশের কথা জানিয়ে অনুরোধ করেন। এরপর তাকে একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ৩টার পর তাকে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয় এসকর্ট ও স্যালুট দিয়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে নিরাপত্তা দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করায় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এর একদিন আগে ফেসবুক পোস্টে আদম তমিজী হক কিছু ব্যাংকিং কার্যক্রম সারা এবং ব্যবসায়িক অংশীজনদের সঙ্গে জরুরি কাজ সারতে দুদিনের জন্য দেশে আসার ঘোষণা দেন।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ফেসবুক লাইভে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে আলোচনায় আসেন আদম তমিজী হক। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে নানান আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন। এরপর হারান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ। ঘোষণা দেন সব ব্যবসা-বাণিজ্য গুটিয়ে বিদেশে চলে যাওয়ার। এরপর সেই প্রক্রিয়ার পথেই হাঁটছিলেন তিনি। ওই ঘটনার পর তিনি খুব কম সময় দেশে ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *