,

সুবর্ণচরে ভোটের রাতে গণধর্ষণ, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত মিন্টু গ্রেপ্তার

মোঃ আবুল বাসার,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃসুবর্ণচরে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধূকে (৪০) দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একমাত্র পলাতক আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মোঃ মিন্টু ওরফে হেলাল সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্য ব্যাগ্যা গ্রামেরমৃত আরব আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই গৃহবধূকে মারধর করে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি ঘটায় তখন দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসে। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী। ঘটনার পরদিন ৩১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে স্থানীয় মেম্বার রুহুল আমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এ মামলায় ১৬ আসামীর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও একমাত্র পলাতক আসামি মোঃ মিন্টু ওরফে হেলালসহ ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— মৃত খুরশিদ আলমের ছেলে মোঃ রুহুল আমিন, মৃত আবদুল হাসেমের ছেলে মোঃ হাসান আলী বুলু, মৃত ইসমাইলের ছেলে মোঃ সোহেল, মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে স্বপন, আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহীম খলিল, মৃত ছিডু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন আবু, ফকির আহাম্মদের ছেলে মোঃ সালাউদ্দিন, মোঃ মোতাহের হোসেনের ছেলে মোঃ জসীম উদ্দিন, মোঃ রফিকের ছেলে মোঃ মুরাদ ও মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ জামাল হেঞ্জু।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ইসমাইল হোসেনের ছেলে মোঃ হানিফ, আবদুল হামিদের ছেলে মোঃ চৌধুরী, মৃত আহম্মদ উল্যার ছেলে মোঃ বাদশা আলম, তোফায়েল আহম্মদের ছেলে মোশারফ, মৃত আরব আলীর ছেলে মোঃ মিন্টু ওরফে হেলাল ও আবুল কালামের ছেলে মোঃ সোহেল।
চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করে ও ছদ্মনামে মিন্টু ওরফে হেলাল গত ৫ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। পুলিশ সদস্যরা তথ্য-উপাত্ত ও নজরদারির মাধ্যমে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *