ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজপথে আন্দোলন বা নির্বাচন—সবখানেই একের পর এক হোঁচট খাচ্ছে বিএনপি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নানা পদে পরিবর্তন এনেও গড়ে তুলতে পারেনি সফল আন্দোলন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর তাই আবারও হাত দিয়েছে দল পুনর্গঠনে। আশা, সেপ্টেম্বর থেকে নতুন কর্মসূচি নিয়ে ফের রাজপথে থাকার।
বিএনপি নেতারা বলছেন, দলের গতি ফেরাতে আর নতুন কর্মসূচি সফল করতেই ঢাকাসহ ৪ মহানগর ও যুবদলের কমিটিসহ নানা ইউনিটের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সরকার পতন আন্দোলন সফল করতে নতুন কমিটিতে নেওয়া হবে ত্যাগী ও যোগ্যদের।
সম্প্রতি একইসঙ্গে বিলুপ্ত করা হয় ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি। যুবদলের কেন্দ্র ছাড়াও বিলুপ্ত হয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিমের কমিটি। সবশেষ ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাসহ কেন্দ্রীয় কমিটির ৩৯ পদে আনা হয়েছে রদবদল।
কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দলের প্রয়োজনে যেকোনো সময় কমিটি বিলুপ্ত করা অস্বাভাবিক নয়।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজকে কমিটি দিলাম, তিন বছর রাখতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যদি কমিটি আশানুরূপ কাজ না করতে পারে আমি আগেও কমিটি ভাঙতে পারি, পরেও ভাঙতে পারি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
সেপ্টেম্বরে আন্দোলন শুরুর পর সরকারের মনোভাব বুঝে কর্মসূচির ধরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানাচ্ছেন বিএনপি নেতারা।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে আমাদের আন্দোলনের দুটি লক্ষ্য। প্রথম লক্ষ্য, এই সরকারের পতন ঘটানো। দ্বিতীয় লক্ষ্য, বাংলাদেশে যতোগুলো প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোকে সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের কল্যাণে ফের ফেরত আনা। এসব লক্ষ্যে আমাদের আন্দোলন চলবে।’
সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে যেকোনো জায়গায় যদি নতুন রক্ত সঞ্চালিত হয় বা নতুন করে পানির প্রবাহ বাড়ানো যায় সেখানে নিঃসন্দেহ গতি বাড়ে। সুতরাং, সাংগঠনিক এই নিয়ম মেনে চলমান যে প্রক্রিয়াটিকে আরও ত্বরান্বিত করে নেতৃত্বের গুণগত পরিবর্তন আনাটা আমরা সবাই অনুভব করছি বলে জানালেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
দল পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে শিগগিরই আরও কিছু কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন নেতৃত্ব দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে বিএনপির।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply