,

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে সম্পদের হিসাব দেওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে: আনিসুল ইসলাম

এন,এম,বিঃদুর্নীতি ঠেকাতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় সম্পদের বিবরণী দেওয়া বাধ্যবাধতামূলক করার প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এর ফলে চাকরি শেষে তাদের সম্পদের হিসাব সহজেই বের করা যাবে বলে জানান তিনি।

বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ প্রস্তাব করেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনা আমরা দেখেছি। চিন্তাই করা যায় না। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যারা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃত্ব দেন, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। দুর্নীতির অভিযোগ ১০০ কোটি টাকার না, হাজার হাজার কোটি টাকার। তারা এয়ারপোর্ট দিয়ে চলে গেছেন। কত লোককে এয়ারপোর্টে থামানো হয়েছে, যেতে দেওয়া হয়নি, পরে কোর্টের পারমিশন নিয়ে যেতে হয়েছে। আজ যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে এ অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না।

সরকারি সংস্থাগুলোর সমালোচনা করে চট্টগ্রাম-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, বছরের পর বছর এগুলো হলেও তারা কি দেখেছে? তাদের কাজ কী, এই সংস্থাগুলোর সামনে কী দুর্নীতির কোনো ছাপ পড়েনি। আজ সময় এসেছে এই দুনীতি নিয়ে, এই ব্যবস্থা নিয়ে একটা পর্যালোচনা করার। যারা দুর্নীতি করেছে তাদের শাস্তি চাই, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে যে ব্যবস্থায় এই রকম দুর্নীতি হতে পারে সেই ব্যবস্থার একটা পর্যালোচনা দরকার।

দুর্নীতি রোধে চাকরিতে প্রবেশের সময় সম্পদ বিবরণী দেওয়া বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি একটা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন করা উচিত। আমরা যারা সংসদে আছি আমাদের একটা স্টেটমেন্ট দিয়ে আসি। নির্বাচনের আগে আমাদের সম্পদের বিবরণী দিতে হয় নির্বাচন কমিশনকে। ঠিক সেরকম যারা সরকারি চাকরিতে আসবেন, তাদের সেই স্টেটমেন্ট নিয়ে চাকরিতে ঢোকা উচিত। তারা যখন বের হয়ে যাবেন তখন সেই স্টেটমেন্ট দেখতে পাবেন।’

বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ এই বাজেটে দিয়েছে, যারা হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে, এই জুন শেষ হচ্ছে, তাদের রিটার্ন দেওয়ার সময় হবে, রির্টানে তারা সব টাকা দিয়ে দেবে, কেউ তাদের আর ধরতে পারবে না। এই টাকা সাদা হয়ে যাবে। আমি ৩০ ভাগ দেব, আপনি ১৫ ভাগ দেবেন চুরি করে, এটা হতে পারে। আমি মনে করি এটা অনৈতিক। প্রথমত অনৈতিক, দ্বিতীয়ত আমি কেন আজ টাকা দেব, না দিয়ে পরের আরেক বছর গিয়ে বলব যে ১৫ ভাগ নিয়ে নেন।

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে দেশের জনগণ দেখছে কীভাবে দুর্নীতি হচ্ছে। কীভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্য সদস্যদের সবাই তো দুর্নীতিবাজ না। কিন্তু সবার গায়ের ওপর গিয়ে পড়ছে। এটা বন্ধ করতে হবে।

কয়েক হাজার প্রবাসী কর্মীর মালয়েশিয়া না যেতে পারার বিষয়ে তিনি বলেন, আজ ১৭ হাজার লোক মায়য়েশিয়া যেতে পারেনি। দিতে হয়েছে ১০০ মিলিয়ন ডলার। কী হচ্ছে কেউ কোনও কিছু জানে না। এটা নিয়ে কোনও কথা নেই। এই লোকগুলো, যারা জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েছে, তাদের টাকা কোথায় গিয়েছে এ নিয়ে কারো কোনও আগ্রহ নেই। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না, এভাবে একটা দেশের উন্নয়ন আসতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *