,

শরণখোলায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৬ দোকান পুড়ে ছাই

শরণখোলা(বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের শরণখোলায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৯টি দোকান, ঔষধের ফার্মেসী ও ৭টি মালামাল রাখার গোডাউন পুড়ে ছাই। ২৭ জুন বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার পাঁচ রাস্তার মোড় এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আগুনের সুত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা সঠিক ভাবে কেউ বলতে পারেনি।
প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপি অগ্নিকান্ডে মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলার ফায়ার সার্ভিসের দুইটি টিম, তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ও রহমতের বৃষ্টির মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রন করতে যেয়ে স্থানীয় ১৫/২০ জন সেচ্ছা সেবক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ব্যবসায়ীদের সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পাঁচ রাস্তার মোড়ে যেকোন একটি মুদি দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। আর এতে নিমিশের মধ্যে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে শাহা মিষ্টান্ন ভান্ডার, আব্দুর রহমানের “মা ষ্টোর”, শহিদুলের মুদি দোকান, সাকাওয়াত হোসেনের ইলেকট্রিকের দোকান, ইব্রহিম তালুকদারের তালুকদার ট্রেডার্স, জসিম ইলেকট্রনিক্স, জাকিরের তানভীর ষ্টোর, বেলায়েত হোসেনের সাইফুল্লাহ মিষ্টি ঘর, ও সাইদুর রহমানের তুবা ফার্মেসী পুড়ে ভষ্মিভ‚ত হয়। এছাড়া এসকল দোকান মালিকের ৭/৮ টি মালামাল রাখার গোডাউন পুরে ছাই হয়ে যায়। অন্যদিকে আশেপাশের আরও ৪/৫টি দোকান আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
খবর শুনে শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফতাব আলমের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস দল আগুন নিয়ন্ত্রনে অংশ নেয়। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রনে না আসায় পার্শবর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম ফারুকের নেতৃত্বে আরও একটি দল এবং তিন শতাধিক সেচ্ছাসেবক বালতিতে পানি নিয়ে অংশ নিলে প্রায় ২ ঘন্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা কালে হঠাৎ রহমতের বৃষ্টি শুরু হয় পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
এ ব্যাপারে মা স্টোরের মুদি দোকানদার আব্দুর রহমান বলেন, তার জীবনের আয় করা সঞ্চিত অর্থ সবই এই দোকানে বিনিয়োগ করা হয়েছে। আগুনে তার সব পুড়ে ছাই।
এ ঘটনায় দোকান মালিকরা জানিয়েছেন, তাদের প্রায় ৪/৫ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এ ঘটনায় রায়েন্দা বাজারের পাঁচ রাস্তা এলাকার সমাজ সেবক আঃ হালিম খান বলেন, একটি মহল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল লেগ ভরাট করে দোকানপাট নির্মান করায় পানি স্বল্পতার কারনে ফায়ার সার্ভিসের আগুন নিভাতে দেরি হয়েছে।
ঘটনা শুনে আগুন নিয়ন্ত্রনে সহযোগীতা করার জন্য ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন, মোড়েলগঞ্জ পুলিশের সার্কেল এসপি আশিকুর রহমান, শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহ, শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের তালিকা করে দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় পাঠানো হচ্ছে। এতে তারা বড় ধরনের সহযোগীতা পাবেন বলেন তিনি মনে করেন। এছাড়া আগুনে ভষ্মিভ‚ত ঘটনার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *