,

ইমিগ্রেশনে পার হননি, অবৈধ পথে ভারতে পালিয়েছেন আসাদুজ্জামান

স্টাফ রিপোর্টারঃ
বহুল সমালোচিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনেকের দেখা মিলছে না। তারা দেশে আছেন নাকি বিদেশে পালিয়ে গেছেন সেই প্রশ্ন যখন জনমনে তখন কলকাতার একটি পার্কে দেখা গেছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে।

যার নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নজিরবিহীন দমনপীড়ন চালানো হয়েছে সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হয়েছে অর্ধশতাধিক মামলা। তিনি কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন– জানতে চাইলে বুধবার (২ অক্টোবর) পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমের খবরে দেখেছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে কলকাতার একটি পার্কে দেখা গেছে। তারা কীভাবে গেছেন সে তথ্য ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে নেই।’

শাহ আলম বলেন, ‘এতটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যাদের দেখা গেছে তারা কেউ ইমিগ্রেশন ক্রস করেননি। ইমিগ্রেশনে তাদের দেশত্যাগের কোনো তথ্য নেই।’

তাহলে কীভাবে গেলেন– জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান বলেন, ‘ইমিগ্রেশনে যেহেতু তথ্য নেই, অবশ্যই অবৈধ পথে গেছেন। হেঁটে যেতে পারেন, গাড়িতেও যেতে পারেন, স্থলপথেও অবৈধভাবে সীমান্ত পার হতে পারেন।’

একই প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস জানান, তাদের কাছেও এ ধরনের (দেশত্যাগের) কোনো তথ্য নেই।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে কলকাতার ইকো পার্কে দেখা গেছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও সেখানে সাবেক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল ও হাজী সেলিমের এক ছেলে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন তারা?

কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, আমাদের কাছে এরকম কোনো তথ্য নেই। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈধভাবে গেছেন নাকি অবৈধভাবে গেছেন সে সম্পর্কে র‍্যাবের কাছে কোনো তথ্য নেই। এখানে র‍্যাবের কোনো ধরনের উদাসীনতা বা গাফিলতির বিষয় নেই। আমাদের যে দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *