,

উপকূলে সরকারি সেবায় সুপেয় পানি অধিকারে নিয়ে এ্যাডভকেসি

মোমিনুর রহমান,প্রতিনিধি শ্যামনগর (সাক্ষীতরা)ঃ
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় সাতক্ষীরা জেলা শ্যামনগর উপজেলার সুপেয় পানির তিব্র সংকট নিরসনে ও সরকারি সেবার আওতায় সুপেয় পানি নিশ্চিতকরনের জন্য শনিবার ১৯ অক্টোবর,  দুপুর ১২:৩০ ঘটিকায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব হলরুমে যুব সংগঠন শরুব ইয়ুথ টিমের আয়োজনে ও একশন এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় গণমাধ্যমকর্মীদের  সাথে মিডিয়া এ্যাডভকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে শরুবের নির্বাহী পরিচালক এস এম জান্নাতুল নাঈমের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় পরিবেশকর্মী মোমিনুর রহমানের উদ্বোধনী আলোচনা মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা কামাল।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র রিপোর্টার আবু সাঈদ, শিক্ষক সংবাদিক রনজিৎ বর্মন ,শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য আনিসুজ্জামান সুমন,এস এম মিজানূর রহমান ,আলমগীর হায়দার, উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম সাহেব আলী, দক্ষীনের বার্তা সম্পাদক আশিকুর রহমান,প্রভাত বার্তার নির্বাহী সম্পাদক হুসাইন বিন আপতাব, সাংবাদিক আব্দুস সালাম ,শরুব ইয়ুথ টিমের সদস্য দেবব্রত বিশ্বাস,ফুয়াদ মাহমুদ, সাগর আহম্মেদ প্রমূখ।

শরুবের নির্বাহী পরিচালক এস এম জান্নাতুল নাঈম বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘ দিনের। উপকূলের জনগোষ্ঠীর জীবন যাপানের প্রতিটি ক্ষেত্রে পানি সংকটের নীতিবাচক প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল ও দূর্যোগ প্রবন এলাকা সাতক্ষীরা জেলার  শ্যামনগর  উপজেলায় দীর্ঘদিন সুপেয় পানির সংকট রয়েছে।সুপেয় পানি সংকট তৈরির প্রধান কারন লবণক্তা বৃদ্ধি,ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া,অপরিকল্পিত উপায়ে  লবণ পানিতে চিংড়ী  চাষ,  বেড়িবাঁধ ভাঙন ইত্যাদি। সুপেয় পানির সংকট তিব্র হওয়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলে সুপেয় পানির মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ, এলকায় পানি বাণিজ্যিকরন হয়ে গড়ে উঠেছে,সাধারন মানুষ, বিশেষ করে নারীরা  প্রতিদিন দুই-তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে টাকা দিয়ে পানি কিনে আনতে হচ্ছে,যার ফলে তাদের স্বাস্থ্যহানি সহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।  সরকারিভাবে  যে জলাধার গুলো রয়েছে তা বর্তমানে ব্যাক্তি মালিকানাধীন ভোগ করা হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে না। এসকল সরকারি পুকুরগুলো ইজারা বাতিল করতে হবে, পানি বানিজ্যকরন ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য জলাধার খনন করতে হবে  ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে এবং সরকারি সেবার  মাধ্যমে মানুষের সুপেয় পানির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *