,

প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুজব শুনে শোডাউন, গ্রেপ্তার ২

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুজব শুনে নোয়াখালীর চাটখিলে শোডাউন করেছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ইব্রাহিম খলিল ওরফে রাসেল (৪২) ও গোলাম কিবরিয়া ওরফে লিটন (৪৫) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী।

জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত রাসেল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের জমাদার বাড়ির মৃত রুহুল আমিনের ছেলে ও লিটন একই গ্রামের ইসমাইল বেপারী বাড়ির মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের গুজব শুনে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা বাজারে শোডাউন করে যুবলীগের একদল নেতাকর্মী। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাসেল মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ও লিটন স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

এদিকে সরকারের পদত্যাগের বিষয়টি গুজব বুঝতে পেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। আজিম মিজি নামের স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা লেখেন, ‘আপনারা গুজব ছড়ান। দুঃখজনক হলেও সত্য আপনারা সাধারণ কর্মীদের সমস্যা বুঝেন না, তাদের খোঁজ নেন না। একটা বারও কি ভাবেন, কয়েক কোটি ভক্ত সমর্থক কেমন আছে? তারা আপনাদের কাছে কী চায়? লজ্জা হয় না আপনাদের? কোন মুখে আপনারা এসব গুজব ছড়িয়ে কর্মীদের বিপদে ফেলেন? আপনাদের শিক্ষা হওয়া উচিত, তেল মেরে মেরে কেন্দ্রীয় পদ-পদবি পেয়ে কোটি টাকা কামিয়ে বিদেশে পড়ে আছেন, এসব বাদ দিয়ে এবার দেশ ও দল নিয়ে একটু ভাবেন।’

স্থানীয় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মেহেদী হাসান বাহালুল বলেন, ‘রাসেল ও লিটন আমার সঙ্গে বসে কথা বলছিলেন। পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দেখে তারা সেখান থেকে উঠে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাদের আটক করা হয়। তারা কোনো শোডাউনে ছিলেন না। তাদের একজন পারিবারিক কাজে একদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন। আরেকজন বাজারের ব্যবসায়ী।’

এ বিষয়ে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ২৫-৩০ নেতাকর্মী শোডাউনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরের দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *