এন,এম,বিঃ
কুয়েটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনে যারাই সন্ত্রাসী কার্যক্রম করবে তাদের অবস্থা ছাত্রলীগের মতো অর্থাৎ নিষিদ্ধ করা হবে। এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত। আমরা সবাই তদন্ত পূর্বক তথ্য ও প্রমাণ দেখতে চাই কারা হামলা করেছে এবং কারা হামলার শিকার হয়েছে। হামলার সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে এবং ইন্ধনদাতা কোন দলের লোক।
ইশরাক বলেন, যেহেতু কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ রয়েছে কিন্তু সারা দেশে নিষিদ্ধ করা হয় নাই। শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাজনীতি পুনরায় চালু করার দাবি জানানোর অধিকার যেমন রয়েছে। তেমনি ছাত্র রাজনীতি বন্ধ রাখার পক্ষেও শান্তিপূর্ণ দাবি জানানোর অধিকার রয়েছে। যার যার অবস্থানে দাঁড়িয়ে দাবি তুলুক সমস্যা কী?
‘কিন্তু সংঘর্ষ কিভাবে শুরু হলো সেটা জনসম্মুখে প্রকাশ করুক মিডিয়া ও হামলার শিকার ব্যক্তিরা। আসল দোষীদের শনাক্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক- এটা আমরা অন্যদের চেয়ে বেশি চাই। কারণ একটি ন্যারেটিভ দাঁড় হচ্ছে অথবা করানো হচ্ছে যেটি বিগত কিছুদিন যাবৎ বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের সহায়ক হচ্ছে। আমরা কোনোদিনই ছাত্রদের ওপর হামলার সমর্থন করি না। আজকে মিডিয়া স্বাধীন, সবার হাতে ক্যামেরা। আমরা সত্য ঘটনা কি ঘটেছে তা দেখতে ও জানতে চাই’।
এর আগে তিনি আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘কুয়েটে যারাই দোষী হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তবে যে ছাত্ররা আন্দোলন করে হাসিনার চূড়ান্ত পতনের নেতৃত্ব দিল, তারা কোন যুক্তিতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে চায়? ছাত্র রাজনীতি না থাকলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস মোকাবিলা করে দেশকে মুক্ত করার ভূমিকা ছাত্ররা রাখতে পারত? ৫২, ৭১, ৯০ এ ছাত্ররা কি দেশের জন্যে ও অধিকারের জন্যে জীবন দেয় নাই? ছাত্র সন্ত্রাস ও ছাত্র রাজনীতি এক নয়।’
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply