,

দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্টঃ
ছাত্রজনতার প্রবল জনরোষের মুখে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার ফেরার সব পথ বন্ধ।

কথিত নিরাপত্তার চাদর ভেদ করে অনুমতি সাপেক্ষে তার বসবাস। সব খোয়া গেছে, হারিয়েছেন সব কেউ। দাবি তাঁকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার ।
গঙ্গার পাড়ে তাঁরা যাঁকে আশ্রয় দিয়েছেন, তাঁরাও সন্দিহান, তিনি অনাহূত। কেউ তার অপেক্ষায় নেই। এমনকি এতদিন যারা তাঁর কথায় ওঠবস করছেন, ফায়দা লুটে গড়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকার পাহাড় তাঁরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলতে যারা এক সময় জ্ঞান হারাতেন,তাকে সন্তুষ্ট করতে যারা থাকতেন উন্মুখ, তারাও এখন তাকে এড়িয়ে চলছেন।যারা এক সময় শেখ হাসিনার ধারে কাছেও ঘেষতে পারতেন না, পাত্তা পেতেন না দলের অন্দর কিংবা বাহিরে এখন তাদের লাইভে এসেই নানা কথাবার্তা বলতে হচ্ছে, হুমকির ফুলকি উড়িয়ে পাত্তা পাওয়ার চেষ্টা করতে হচ্ছে। উল্টো সে সব হুমকি নিয়ে তৈরি হচ্ছে মিমস।

শেখ হাসিনা ভারতে কীভাবে আছেন, কোথায় আছেন তা নিয়ে দিল্লি বরাবরই চুপনীতির অবস্থান নিয়েছে।দিল্লির এই চুপ থাকায় মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, শেখ হাসিনা কি দিল্লিতে গৃহবন্দী?

এবার ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা আবারও ফিরে আসতে মরিয়া। তিনি ফিরবেন আর প্রতিপক্ষকে ধরবেন, প্রতিপক্ষকে শূলে চড়াবেন, উন্নয়ন করবেন, মেট্রোরেলে চড়বেন, পদ্মা সেতুতে গিয়ে গায়ে হাওয়া মাখবেন।

তবে শেখ হাসিনা ফিরবেন সেই খবরে অনেকে আবার আশাবাদী, তাঁরা চান হাসিনা আবার ফিরুক। ফিরে এসে মুখোমুখি হোক বিচারের।

প্রায় ২ হাজার হত্যা, শত শত আহত মানুষ। আয়নাঘর কাণ্ডের মতো বহু অভিযোগ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ সরকারও প্রস্তুত আগেই শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় সব নথিপত্র দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে দিল্লিকে। শেখ হাসিানও আসতে চাইছেন। তবে দিল্লি কেন তাঁকে দেশে পাঠাচ্ছে না?জটিলতা কোথায়?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য ।শফিকুল আলম বলেন, কিছুদিন আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে স্পষ্ট, শেখ হাসিনা কী ধরনের অপরাধ করেছেন। তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এটা বড় ধরনের অপরাধ৷

জাতিসংঘ ও কিছু কিছু মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনের পর অনেক চাপ তৈরি হচ্ছে। এই চাপে একটা নমুনা হল ইন্ডিয়া টুডের জরিপ। সেখানে দেখা গেছে সেখানকার ৫৫% মানুষ চান শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে কিছু অংশ চাচ্ছেন, তাঁকে অন্য দেশে পাঠিয়ে দিতে। মাত্র ১৬% থেকে ১৭ % শতাংশ মানুষ চান শেখ হাসিনাকে ভারতে রাখতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *