,

শিশু আছিয়ার সবশেষ অবস্থা জানালো আইএসপিআর

এম,এন বিঃমাগুরায় নির্যাতনের শিকার আট বছর বয়সী শিশু আছিয়া বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচে) পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে আছে। তাকে স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং তদনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।

সোমবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, গত ৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬ টায় মাগুরায় নির্যাতিত আট বছর বয়সী শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন অবস্থায় শিশু আইসিইউ, ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ সময় শিশুটি সম্পূর্ণ অচেতন অবস্থায় ছিল। এই সময় তার রক্তচাপ ১২০/৭০ মিমি; (কার্ডিয়াক সাপোর্টসহ), হৃদ স্পন্দন ১১৮/মিনিট, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৬% পাওয়া যায়। শিশুটির গলার সামনের দিকে গভীর ক্ষত এবং শরীরের অন্যান্য স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।

এতে বলা হয়, শিশুটির যথাযথ অবস্থার নিরূপণ এবং সঠিক চিকিৎসা প্রদানের নিমিত্তে কমান্ড্যান্ট সিএমএইচ ঢাকা, চিফ সার্জন জেনারেল, উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান শিশু বিভাগ, উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান স্ত্রী ও ধাত্রী বিদ্যা বিভাগ, উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ, উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান শিশু সার্জারি বিভাগ, সিনিয়র অবেদন বিদ্যা বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র শিশু নিউরোলজিস্ট এর সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক CT scan of abdomen, Chest and Brain, USG of abdomen, Chest x-ray এবং রক্তের প্রয়োজনীয় পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা করে যথাযথ চিকিৎসা শুরু করা হয়। পরীক্ষায় শিশুটির Pneumothrox (RT) এবং ARDS এবং Diffuse Cerebral Edema ধরা পড়ে এবং একই সাথে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ শিশুটি মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়। ৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *