রবিউল ইসলাম,শ্যামনগর উপজেলা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃশ্যামনগর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম আবুর বিরুদ্ধে মোটা টাকা অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এলাবাসীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল ৫ টায় উপজেলার মুন্সীগঞ্জ গ্যারেজ বাজারে কয়েকশত মানুষ এর উপস্থিতিতে উক্ত মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক এম এম মজনু এলাহী, যুবদলের সদস্য আব্দুল গফুর, তরুণ দলের আহবায়ক জয়নাল মল্লিক, থানা যুবদলের সদস্য আলামিন সবুজ, সাবেক উপজেলা জাসস এর সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি এসএম আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রদলের নেতার নেতৃত্বে খাল দখল ও মাছ লুটের অভিযোগ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং তাতে বলা হয়, এতিমখানা ছাত্রদের ভরণপোষণ ও উন্নতিকল্পে উক্ত জলমহলটি থেকে অর্জিত অর্থ এতিমখানার উন্নতিকল্পে ব্যয়ের জন্য দেওয়া হয়েছে যা সম্পুন্ন মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া ও ভিত্তিহীন নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। এলাকাবাসী জানান
ইসহাক আলি পাড় (ইসা) আওয়ামিলীগের আমলে শেখ হেলালের বাসায় গিয়ে তার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামীলীগ যোগদান করার পর থেকে এলাকায় এসে প্রভাব খাটিয়ে জেলেখালি ১২০ বিঘা খালটি জোরপূর্বক দখল করে রেখে এখনও পযর্ন্ত খাচ্ছিল। এলাকাবাসী খালটি উন্মুক্ত করা দাবী জানালে খালটি ইসা কৌশলে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের একজন প্রভাবশালী সাংবাদিক কে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে তার ছত্রছায়ায় বতর্মান দখলে রেখে এতিমখানা নামে একটি সাইনবোর্ড বানিয়ে খালের পাশে টানিয়ে দিয়ে দখলে রাখার চেষ্টা করেন। এছাড়াও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে বতর্মান শুকনো খাল থেকে মাছ লুটের অভিযোগ ও তোলেন । বক্তারা আরো বলেন ইসাহক আলি পাড়ের বিরুদ্ধে এলাকার কৃষকগনের উপর নির্যাতনের এবং নিষঠুরতার কথা তুলে ধরেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলেখালী খালপাড়ের স্থানীয় বসবাসকারী আবু তাহের, অমিতোষ মন্ডল, ফাতেমা বিবি, সাবেক মহিলা মেম্বার আরতি রানী, লিপিকা রানীসহ খালপাড়ের স্থানীয় জনসাধারণ। তারা মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বলেন আবু ভাইয়ের বিরুদ্ধে আজ মাছ লুটের যে অভিযোগ এনে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিউজ হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট। আজ এক মাসের অধিক উক্ত খালটি শুকানো রয়েছে তাহলে শুকনা জায়গায় মাছ লুট হলো কিভাবে। এর পাশাপাশি এলাকার ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ মানববন্ধনের দাবি তুলে ধরে বলেন এলাকার জলাভূমি উন্মুক্ত রাখা, কৃষিভিত্তিক জলাভূমির পানি বিক্রয় থেকে মুক্ত রাখার পক্ষে যে ব্যাক্তি বহু দিন থেকে কাজ করে আসছে সেই আব্দুল্লাহ আল-কাইয়ুম আবু ভাইয়ের বিরুদ্ধে মোটা অর্থের বিনিময়ে যে মিথ্যা অভিযোগ ও নিউজ করা হয়েছে সেটি প্রত্যাহারের জন্য দাবী জানাচ্ছি।।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply