,

শ্যামনগরে স্থায়ী জ্বলাবদ্ধতার কবলে শংকরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি ভবন পরিত্যক্ত

আব্দুল আহাদ,নিজস্ব প্রতিনিধিঃসাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ৬নং শংকরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বর্ষাকালে পানি নিঃস্কাসনের ব্যাবস্থা না থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে গত চারবছর যাবত। ছাত্র ছাত্রীরা পরিক্ষা দিচ্চে মেইন ভবনের বারান্দায়।

২৪শে আগষ্ট রবিবার সরজমিনে যেয়ে দেখাযায় যে স্কুলের মাঠটি সম্পুর্ণ পানিতে ডুবে আছে। এবং স্কুলের একটি টিনশেড ভবনের ভিতরে পানি প্রবেশ করায় ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের ছাত্র ও শিক্ষকগন উভয়ই প্রতিদিন এই জ্বলাবদ্ধ এই মাঠ পেরিয়ে স্কুলের মেইন ভবনে আসেন। একটি ভবনেই সকল শ্রেনীর ক্লাস হয় এবং বর্তমানে পরিক্ষা নেয়া হচ্চে তবে শ্রেণী কক্ষ সংকটের কারনে বারান্দায়ও পরিক্ষা নেয়া হচ্চে।

অত্র স্কুলের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র অভি সর্দার বলেন, আমাদের স্কুলের মাঠে বর্ষাকালে পানি জমে থাকে এই পানি সরে না, আমরা খুব কষ্ট করে স্কুলে আসি। আমাদের সবার পায়ে ঘা হয়ে গেছে। আমরা নিয়মিত স্কুলে আসতে পারিনা। আমাদের স্কুলের এই সমস্যার সমাধান চাই। একই কথা বলেন পঞ্চম শ্রেনীর লামিয়া খাতুন মোঃ সামি সহ উপস্তিত সকল ছাত্র ছাত্রীরা।

স্কুলের পার্শ্ববর্তী স্থানীয় মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন, অনেক আগে এই স্কুল মাঠের পাশে দিয়ে একটা কালভার্ট ছিলো কিন্তু চার বছর আগে স্কুলের মাঠ বড় করার জন্য মাঠ সংলগ্ন পুকুরটি ভরাট করা হয় পুরনো যে সভাপতি ছিল সে সময়। এর তখন সাথে থাকা কালভার্টটি মাটি ভরাট হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে স্কুলটিতে স্থায়ী ভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলের টিনশেড ভবনটি পানি ঢুকে গেছে যে কারণে ক্লাস নেওয়া বন্ধ হয়ে আছে। আমরা এলাকাবাসী এটার স্থায়ী সমাধান চাই।

স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও উপজেলা সককারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ক্রিয়া সম্পাদক মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, আমাদের এই স্কুলের জলাবদ্ধতা গত চারবছর যাবত। প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুরু থেকে স্কুল মাঠের জলাবদ্ধতার শুরু হয় এই জলাবদ্ধ অবস্থা কার্তিক মাস পর্যন্ত থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও এই পাচ মাস সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষক গন প্রায় হাটু পানি পেরিয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করতে হবে। আমাদের একটি ভবন পরিত্যক্ত হয়ে আছে। যে কারনে উচু এই ভবনের সবকয়টি রুম সহ বারান্দাতে ও ক্লাস নেয়া হয় আর বর্তমানে পরিক্ষাও নেয়া হচ্চে। বদ্ধ এই পানি পেরিয়ে প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়ার কারনে বাচ্চাদের পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে গেছে। আমরা এই জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *