,

সৌদিতে কর্মসংস্থান নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আব্দুল আহাদ,নিজস্ব প্রতিনিধি:সৌদি আরবে কর্মসংস্থান নিয়ে ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচার ও সম্মানহানির প্রতিবাদে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার খাগড়াঘাট গ্রামের মো. সালাউদ্দীন। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি অভিযোগ করেন, তার ছোট ভাই মো. আব্দুল আলিম দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। এ সময় এলাকার কয়েকজন যুবক তার ভাইয়ের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, এলাকার পরিচিত শ্রীফলকাটির মো. শফিকুল ইসলাম, খাগড়াঘাটের মেজবাহ উদ্দীন ও মো. মেহেদী হাসান, পাতড়াখোলার মো. জাহাঙ্গীর কবীর, বংশীপুরের মো. ইমরান সরদার এবং খাগড়াঘাটের মো. আশরাফ উদ্দীন সৌদি আরবে যেতে রাজি হন। তাদের পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মতিতে বৈধ ভিসা ও আকামার মাধ্যমে তাদেরকে সৌদি আরবের ‘হ্যাঙ্গার স্টোশন’ নামের একটি কোম্পানিতে ফুড ডেলিভারি বাইকার হিসেবে চাকরিতে যুক্ত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মো. সালাউদ্দীন অভিযোগ করেন, সৌদি আরবে গিয়ে শফিকুল ইসলাম চুক্তিবদ্ধ কোম্পানিতে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান এবং নিজ উদ্যোগে অন্যত্রে চাকরি নেন। মেজবাহ উদ্দীন কয়েকদিন কাজ করার পর কম বেতনের অজুহাতে চাকরি ছেড়ে দেন এবং পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের সম্মানহানি করেন। মো. জাহাঙ্গীর কবীরও ১০-১২ দিন কাজ করার পর বেশি বেতনের লোভে চাকরি ছেড়ে দেন, এমনকি চাকরির সময় তার ভাইয়ের কাছ থেকে ৩০০ রিয়াল ধার নিয়েছিলেন। ইমরান হোসেন প্রায় ৪-৫ মাস কাজ করেছিলো তাকে কোম্পানি ২বছরের আকাম সহ ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দিয়েছিলো কিন্তু বেশি ইনকামের আশায় ইমরানও ফুড ডেলিভারি কাজ ছেড়ে অন্যত্র কাজে যোগ দেয়। যে কারনে কোম্পানি তার বিরুদ্ধে ক্ষতিপুরন মামলা দেয়। যার জন্য দ্বায়ী ইমরান নিজে এবিষয়ে তার পরিবার অবগত আছে।

একইভাবে আশরাফ উদ্দীন কয়েকদিন পর কোম্পানির কাজ ছেড়ে অন্যত্রে চলে যান। তবে তার ভাই মেহেদী হাসান এখনো সেই প্রতিষ্ঠানে ফুড ডেলিভারিতে চাকরি করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পাতড়াখোলার জাহাঙ্গীর কবির ও বংশীপুরের ইমরান হোসেনের চাচা আজিজুল ইসলাম বলেন, আমার দুই ভাইপো সৌদিতে আলিমের মাধ্যমে যায়। আমি সমগ্র বিষয়টি জানি তারা ফুড ডেলিভারি কাজের জন্য ভিসা নিয়ে যায়। কিন্তু ওখানে যাওয়ার পর তারা বেশি ইনকামের আসায় অন্য কাজে চলে যায়। আমার জানামতে আলিমের কোনো দোষ নেই।

এবিষয়ে সালাউদ্দীনের দাবি, যারা চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানিতে কাজ করেননি, তারাই এখন বিদেশ যাওয়ার খরচ উসুল করার জন্য মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও জাতীয় টেলিভিশনে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে তাকে ও তার ভাইকে আদম ব্যবসায়ী আখ্যায়িত করছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।তিনি এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *