,

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কোনো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়নি: ট্রাইব্যুনালে হাসিনার আইনজীবী

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কোন হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কোন মানবতা বিরোধী অপরাধ করেননি। গতকাল ট্রাইবুন্যালে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জবানবন্দির উপর জেরাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ জেরার সময় ট্রাইবুন্যালে উপস্থিত ছিলেন।

মাহমুদুর রহমান শেখ হাসিনার আইনজীবীর বক্তব্য অসত্য উল্লেখ করে বলেন, তিনি জবানবন্দিতে যেমনটি বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার রিপোর্ট অনুযায়ী ১৪০০ লোক নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ২০ হাজার। এই গণহত্যার কমান্ড রেসপনসিবিলিটি শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান কামাল ও তাদের সহযোগিদের। এ কারণে উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত। মেখ হাসিনার আইনজীবী আরও বলেন, ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদের কোন উত্থান হয়নি, বিচার বিভাগ কিংবা সামরিক বেসামরিক প্রশাসনে বা অন্য কোথাও কোন ধরনের অন্যায় অবিচার হয়নি, কোন জঙ্গি নাটক হয়নি। মাহমুদুর রহমানকে জেলে নেয়ায় তিনি বিদ্বেষপ্রসূতভাবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মাহমুদুর রহমান শেখ হাসিনার আইনজীবীর এই বক্তব্য সত্য নয় উল্লেখ করে জঙ্গি নাটক নিয়ে সাবেক আইজপি শহীদুল হকের বইয়ের স্বীকারোক্তি তুলে ধরেন। বিচার বিভাগ প্রসঙ্গে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসেকে সিনহার দ্য ব্রোকন ড্রিম বইয়ের কথা উ্ল্লেখ করে তার দেয়া বক্তব্যে অটল থাকেন।

শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশে কোন দুর্নীতি ছিল না বলেও দাবি করেন তার আইনজীবী। সংবিধান অনুযায়ী ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন হয়েছে এবং এসব নির্বাচনকে ভুয়া বলে মাহমুদুর রহমানের দাবি ঠিক নয় বলেও শেখ হাসিনার আইনজীবী মন্তব্য করেন। তবে মাহমুদুর রহমান তার দাবিতে অটল থেকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে উল্লেখিত ৩ টি নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলে রেজুলেশন পাশের কথা উল্লেখ করেন। শেখ হাসিনার ভারত তোষণ নীতি ও কার্যক্রমের ব্যাপারে মাহমুদুর রহমানের বক্তব্য অসত্য বলে শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেনের মন্তব্যকে খন্ডন করে মাহমুদুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা নিজেও বলেছেন তিনি ভারতকে যা দিয়েছেন আর, কেউ দিতে পারবে না, ভারত চিরদিন এটা মনে রাখবে। অন্য দিকে শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বলে মন্তব্য করে প্রমাণ করেছেন হাসিনা সরকার কিভাবে ভারতের কথায় চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *