,

বন্ধুর সাথে কাঁচামালের ব্যবসার জন্য ঢাকায় এসে ২৬ টুকরো হলেন আশরাফুল, কে করলো হত্যা

ডেস্ক রিপোর্টঃতিনদিন আগে অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে রেখে বন্ধু জরেজ মিয়ার সঙ্গে ঢাকা যান কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হক। এরপর থেকে স্ত্রী লাকী বেগম আশরাফুলকে ফোন করলে তার বন্ধু জরেজ ফোন রিসিভ করতেন। আশরাফুলের খোঁজ করলে তিনি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত আছেন বলে জানাতেন।

ফোনে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে থানায় যান আশরাফুলের স্ত্রী লাকী বেগম। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারেন ঢাকায় তার খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

আশরাফুল হকের (৪২) বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে। বাবা মো. আব্দুর রশিদ ও মা মোছা. এছরা খাতুন। আশরাফুল ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ ও আলু আমদানির ব্যবসা করতেন। এ কাজে তার সরকারি লাইসেন্সও ছিল।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে নীল রঙের দুটি ড্রামের ভেতর থেকে ২৬ টুকরা খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে পরিচয় শনাক্ত করা না গেলেও পরে ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশ্লেষণ করে তার পরিচয় বের করে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট।

খুন হওয়া আশরাফুলের শ্যালক আব্দুল মজিদ বলেন, “আমার বোন জামাই তার বাবাকে রংপুরে একটি হাসপাতালে রেখে মঙ্গলবার মালয়েশিয়া ফেরত বন্ধু জরেজ মিয়ার সঙ্গে ঢাকায় যান। বুধবার বিকেল ৫টায় আশরাফুলের সঙ্গে বোনের শেষ কথা হয়। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। তাই বৃহস্পতিবার বিকেলে বদরগঞ্জ থানায় জিডি করতে যান বোন। এখানে গিয়ে জানতে পারি আশরাফুল ঢাকায় খুন হয়েছেন।”

আব্দুল মজিদ বলেন, “শেষ কথায় বাবাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসার কথা বলেন আশরাফুল। এরপর থেকে আশরাফুলকে কল দিলে তার বন্ধু জরেজ ধরে। আর বলে, ‘আশরাফুল ব্যস্ত আছে, কালেকশনে গেছে।’”

তিনি আরও বলেনম “বৃহস্পতিবার দুপুরেও ফোন দেওয়ার পর জরেজ ফোনটি রিসিভ করে। কিন্তু তিনি আশরাফুলকে ফোনটি দিচ্ছিলেন না। এ জন্য আমার বোন জরেজের স্ত্রীর কাছে যায়। তিনি জরেজকে ফোন দিলে জরেজ তার স্ত্রীকে বলেন আশরাফুলের ফোন ড্রেনে কুড়ায় পাইছে। এরপর বোনসহ থানায় আসি। এসে শুনি তাকে খুন করছে। তার লাশ উদ্ধার হইছে ঢাকায়। এ কথা শোনার পর আমার বোন তো পাগল হয়ে গেছে । আমরা হত্যাকারী বিচার চাই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *