ডেস্ক রিপোর্টঃজুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় রায় পড়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রাজসাক্ষী মামুনের ভাগ্যে কী আছে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
রায় পড়া কালে ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, সাবেক আইজি মামুন জাতির কাছে এবং আদালতে ক্ষমা চেয়েছে। তার লঘুদণ্ড হবে। ফলে আইজি মামুনের ফাঁসি হচ্ছে না, তাকে লঘুদণ্ড দেয়া হতে পারে। রায়কে কেন্দ্র করে আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে আজ সকাল ৯টায় প্রিজন ভ্যানে করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। রায় ঘোষণার সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল-১-এর বিচারক বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় পড়া শুরু করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
বহুল আলোচিত এই মামলায় পাঁচটি অভিযোগে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে প্রসিকিউশন। অন্যদিকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আসামিদের নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়েছেন। রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে তার আইনজীবীও খালাস প্রার্থনা করেছেন।
এ মামলায় হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রসিকিউশন ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগ দাখিল করে। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার।
মানবতাবিরোধী এই মামলায় গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচার চলাকালে দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা তুলে ধরতে ‘অ্যাপ্রুভার’ হিসেবে রাজসাক্ষী হন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply