এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ উপকূলীয় অঞ্চলে বারসিকের আয়োজনে বিলুপ্তপ্রায়, অচাষকৃত ও ঔষধিগুণসম্পন্ন লতা, পাতা, শাকের এক বিশেষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) চন্ডিপুর দুর্গা মন্দিরের মাঠে বারসিক আয়োজিত এ ব্যতিক্রমী মেলায় স্থানীয় কৃষক, কৃষাণী ও পরিবেশ-সংগঠকরা অংশ নেন। মেলায় মোট ১২টি স্টল অংশ নেয়, যেখানে স্থানীয়ভাবে হারিয়ে যেতে বসা নানা জাতের ভেষজ ও খাদ্যগুণসম্পন্ন ১৩১ প্রকার শাক লতা প্রদর্শন করা হয়।অনুষ্ঠানে চন্ডিপুর কৃষি নারী উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি শম্পা রানীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা সবুজ সংহতির সভাপতি অবশরপ্রাপ্ত শিক্ষক কৃষ্নানন্দ মূখার্জী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশ টিভি সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি সুমন কায়সার, শ্যামনগর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আহসানুল্লাহ, বারসিকের আঞ্চিলক সম্নবয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, শংকর ম্রং, কর্মসুচী কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিলন, বর্ষা গাইন,প্রতিমা চ্যাটার্জী, লিপিকা গাইন প্রমূখ।
প্রধান অতিথি বলেন,উপকূলীয় অঞ্চলের লবণাক্ততা, ঘূর্ণিঝড় ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে বহু দেশজ প্রজাতি হারিয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের মেলা এসব গাছপালা সংরক্ষণে জনগণকে সচেতন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।অনুষ্ঠানের সভাপতি বলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষরা যে লতা–পাতা ও শাক দিয়ে চিকিৎসা করতেন, সেগুলোর অনেকগুলো এখন আর দেখা যায় না। আমরা এগুলোকে আবার চাষাবাদ ও ব্যবহারিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চাই।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গ্রীন কোয়ালিশন শ্যামনগর পৌরসভার সভাপতি কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি, সাধারণ সম্পাদক কিরণ শংকর চট্টোপাধ্যায় ও কৃষানী নুপুর মণ্ডল। তারা বলেন, উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রজাতির গাছপালা পুনরুদ্ধার অত্যন্ত জরুরি।বারসিক এর সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা প্রতিমা চক্রবর্তী বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশীয় সম্পদের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে এবং স্থানীয় জ্ঞান সংরক্ষণের পথ সুগম হচ্ছে।স্থানীয় অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত এ মেলা উপকূলীয় পরিবেশ, খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মেলায় ১২ ষ্টলে ১১৫ টি শাকের প্রদর্শনী দিয়ে ১ম স্থান অধিকার করেনলতিকা রানী ২য় স্থান অধিকার করেন শম্পা রানী, ৩য় স্থান অধিকার করেন কল্পনা রানী এছড়াও অন্যন্য স্টল প্রদর্শনে অংশগ্রহণ করেন ইতি গাইন-১০৯ প্রকার নুপুর রানী -১০২,যমুনা গাইন ৯৫,লতিকা মন্ডল ১১৫, কল্পনা রানী, ৬৬,সুচিত্রা রানী ৭৩,লতিকা রানী ৬৪, তৃষ্ণা +কনিকা রানী-৯০,মালতি রানী ৯৩, জোসনা বালা ৫৫, শিখা রানী ৮০,সুন্দরী রানী ১০০ প্রকার শাক ও লতা, পাতা প্রদর্শন করেন।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বারসিকের কমিউনিটি ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর লিপিকা গাইন।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply