,

আশাশুনিতে স্ত্রীর অধিকার পেতে স্বামীর বাড়িতে অনশন

আসান উল্লাহ বাবলু,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদে স্ত্রীর অধিকার পেতে জেসমিন সুলতানা প্রিমা (২৭) তার স্বামীর বাড়ীতে অনশনে বসেছেন। (৩০ এপ্রিল) শুক্রবার দুপুরে তার স্বামী শারিউল্লাহ বাহার এর বাড়িতে দুপুর ১২টা থেকে অবস্থান করছে বলে জানা যায়। মেয়েটি বাড়ীতে অবস্থানের পর পরই ছেলে ওই বাড়ী থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়।

মেয়েটি জানায়, প্রেমের সম্পর্কের কারণে সে তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ২০১৮ সালে। ফকরাবাদ গ্রামের মোঃ শাহজাহান আলী সরদারের ছেলে শারিউল্লাহ (২৬) এর সাথে ইসলামীক শরিয়ত মোতাবেক কাজীর মাধ্যমে বিয়ে হয় বড়দল ইউনিয়নের জামাল নগর গ্রামের ফারুক গাজী মেয়ে জেসমিন সুলতানা প্রিমার। বিয়ের পর তারা ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বেশ কিছুদিন বসবাস করেন। বিয়ের এক মাস পর তার স্বামী তাকে না বলে ভাড়া বাসায় তাকে ফেলে রেখে চলে আসে। পরবর্তীতে সে তার স্বামীর বাসায় এলে তার শশুর, শ্বশুড় ও ভাই ভাইপোরা সহ বাড়ীর লোকজন তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং বেদম মারপিট করে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে গত আনুমানিক এক মাস আগে থানা পুলিশের মাধ্যমে সামাজিক বিচার-শালিসী হলেও তারা তাকে বাসায় তুলছে না। এজন্য কোন উপায়ন্তর না পেয়ে স্ত্রীর অধিকার আদায়ে আজ স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করেছেন এবং তা মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত এখানেই অবস্থান করবেন বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে ছেলের বাবা শাহজাহান সরদার জানান, আমি কিছু জানি না। যখন জানতে পারি জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখে কে বা কারা প্রলোভন দেখিয়ে ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে গেছে। ঢাকায় যাওয়ার পর আমি যাচাই-বাছাই করে জানতে পারলাম আমার ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। সেখানে যে একটা নোটারি পাবলিকের একটা এক লক্ষ টাকার দেনমোহরের কাগজ ৮০ হাজার টাকা নগদ দেখলাম তাতে তারিখ দেওয়া আছে ৩৩ বছর। এছাড়া আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখলাম তার ভাইকে দিয়ে তাকে কৌশল করে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয় এবং তাঁকে বিভিন্ন রকমের হুমকি দিয়ে বিয়ে করাতে রাজি করে। তখন আরও জানতে পারলাম ১৮ বছর ছয় মাসের জায়গায় ৩৩ বছর কাগজে লেখা। আর ছেলের বয়স ৩৩ বছর ৭ মাস সেখানে লেখাআছে ২৭ বছর। খোঁজখবর নিয়ে আরও জানতে পারি এর আগে ওই মেয়ের আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট গ্রামে বিয়ে হয়। সেই ঘরের একটা মেয়ে সন্তানও আছে তার বয়স (১৪)। এখন সে আমার বউমা না। এছাড়া এটা আমার ছেলের বাড়ি না আমার বাড়ি আমি তাহাকে গ্রহণ করব না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *