নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আবারো প্লাবিত হয়েছে শ্যামনগর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন।বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম আবুজর গিফারী।পরিদর্শন কালীন সময়ে তারা সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান সহ স্থানীয়দের সাথে সমস্যা সমাধানে করনীয় বিষয়ে আলোচনা করেন। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জোয়ারের চাপে আবারো প্লাবিত হওয়ায় এলাকার মানুষেরা ভুকছে হতাশায়। এদিন আবারো অতিরিক্ত জোয়ারের চাপে শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী,গাবুরা,কৈখালীতে বেড়িবাঁধ উপচে গ্রামে ঢুকে পড়ে। এসব বেড়িবাঁধ ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ায় আবারো সয়লাব হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং গ্রামবাসী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে বালির বস্তা এবং মাটি ফেলে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা চলছে।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিএম মাছুদুল আলম, পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এড. আতাউর রহমান, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাবু ভবতোষ মন্ডল, কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমসহ স্থানীয়রা এসব তথ্য জানান।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ারের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম জানান, এলাকা প্লাবিত হওয়ায় কিছু মুরগির ফার্মে পানি ঢুকে মুরগি ও অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়েছে ১৬৫০ হেক্টর, ফসল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৯০ হেক্টর, সম্পূর্ণভাবে ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২৬৫ টি,আংশিক ৪৫০০ ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এছাড়া উপজেলার ১৯০ মিটার বাঁধ ভেঙেছে এবং ১১ কিলোমিটার বাঁধ ছাপিয়ে এলাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানাযায়।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ.ন. ম. আবুজর গিফারী বলেন,ঘুর্ণিঝড় ইয়াস’র দ্বিতীয় দিন আবারো প্লাবিত হওয়ায় এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমরা সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক প্লাবিত মানুষের পাশে রয়েছি। তাদের যেকোন সমস্যা সমাধানে তাদের পাশে থাকবে উপজেলা প্রশাসন। তিনি বলেন সরকারি সহযোগিতা হিসেবে প্রথমেই প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যান কে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছিল,আজ আবার ২ লক্ষ ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply