,

শ্যামনগরের জাতীয় বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে উপকূলের দাবীতে পৃথক পৃথক আলোচনা সভা ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

পীযূষ বাউলিয়া পিন্টু,শ্যামনগর থেকে: ১ জুন ২০২১ তারিখ বিকাল ৪ টায় শ্যামনগরে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় জাতীয় সংসদে উপকূলের টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের লক্ষ্যে মাননীয় সংসদ সদস্য সাতক্ষীরা ৪ এস এম জগলুল হায়দার মহোদয়ের নিকট মত বিনিময় করা হয়েছে। সভায় মাননীয় সংসদ সদস্য নিকট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য দাবি উপস্থাপন করা হয় তিনি উল্লেখিত দাবিতে জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগরের দাবিসমূহ সংসদে উপস্থাপন বিষয়ে একমত পোষণ করেন। ২ এপ্রিল ২০২১ সকাল ১১ টায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে উপকূলের দাবি নিয়ে মতবিনিময় শেষে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জাতীয় বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে উপকূলের দাবিতে ১২ টি ইউনিয়নে দাবি সম্বলিত মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বিকাল চারটায় জলবায়ু পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপন্নতা প্রশমন ও অভিযোজন অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ ভার্চুয়াল অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সঞ্চালন করেন জলবায়ু পরিষদের সদস্য আশেক এলাহী s.r.l. প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার জলবায়ু মোকাবেলায় জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখতে আলোচনা সভায় আলোচনা করেন কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুর রউফ, কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল, ভূরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা ফারুক হোসেন , রমজান নগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন,শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন এর প্যানেল চেয়ারম্যান বেবি নাসরিন ,নুরনগর ইউপি সদস্য আবু হেনা ইউপি সদস্য কার্তিক চন্দ্র মন্ডল ইউপি সদস্য আবু সাইম। জলবায়ু পরিষদের সদস্য শিক্ষক সাংবাদিক রঞ্জিত বর্মন, সুপর্ণা কর্মকার, রফিকুল ইসলাম ,দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল পত্রিকার জহুরুল কবীর, এস এম মাসুম বিল্লাহ প্রমূখ। ভার্চুয়াল দীর্ঘ আলোচনায় শ্যামনগরে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেখা দিলে এই অঞ্চলে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি
। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকারের প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও ষাটের দশকের নির্মাণকৃত জরাজীর্ণ ভেড়িবাঁধ পুননির্মাণ সরকারের বাজেট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না ফলে ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে যখন ভেঙে যায় তখন সাধ্যমত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় নাগরিকবৃন্দ স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে বাঁধ মেরামত এগিয়ে আসতে হয়। স্থানীয় সরকারের হাত থেকে বাঁধ মেরামতের জন্য একটি বরাদ্দ থাকবে ।সেই অনুযায়ী জনপ্রতিনিধিরা জরাজীর্ণ ভেরি বাঁধ আগাম মেরামত কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে ।সে ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের নিকট দায়িত্ব প্রদান দাবি তুলে ধরেন। ছাড়া ১২ দফা দাবি জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য আলোচনায় উপস্থাপিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *