,

বৃষ্টিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজায় সুমন

রাজধানীর মগবাজারে বৈকালী আবাসিক হোটেলে শ্যালিকা বৃষ্টিকে প্রথমে শ্বাসরোধে হত্যা করে বরিশালের উজিরপুরের মো. সুমন (২৯)। এরপর ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বৃষ্টির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রাখে এবং আত্মহত্যার নাটক সাজায় সে। গত ১৬ জুলাই ওই হোটেলের ৪০৭ নম্বর কক্ষ থেকে বৃষ্টির (১৬) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

র‌্যাবের দেয়া তথ্যমতে, প্রথমে সুমন তার শ্যালিকা বৃষ্টিকে উত্ত্যক্ত করত। একপযাের্য় তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পকর্ গড়ে ওঠে। সম্প্রতি বৃষ্টির বিয়ের আলোচনা চলতে থাকায় ও সুমনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় সে। ঘনিষ্ঠ সম্পকের্র ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাটির স্থায়ী সমাধান করার জন্য বৃষ্টিকে বৈকালী হোটেলে নিয়ে যায় সুমন। সেখানে পূবর্ ঘটনার জেরে দুজনের মধ্যে বাকবিতÐা হয়। এ সময় অনৈতিক সম্পকর্ স্থাপনের চেষ্টা করলে সুমনকে বাধা দেয় বৃষ্টি। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সুমন।

বুধবার কাওরান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব ৩-এর অধিনায়ক লে. কনের্ল এমরামুল হাসান। তিনি বলেন, ‘সুমন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক। ২০১০ সালে বৃষ্টির মেজো বোনকে বিয়ে করে সে। গত তিন-চার বছর ধরে বৃষ্টির সঙ্গে অনৈতিক সম্পকর্ চলে আসছিল সুমনের। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। বোনের সংসারের কথা চিন্তা করে সুমনের কাছ থেকে সরে আসে বৃষ্টি। পরবতীের্ত বৃষ্টির বিয়ের আলোচনা শুরু হলে ক্ষিপ্ত হয় সুমন। নিজের কাছে থাকা ঘনিষ্ঠ সময়ের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় সে।

ঘটনার স্থায়ী সমাধানের অজুহাতে বৃষ্টিকে গত ১৬ জুলাই সকালে মগবাজারের বৈকালী আবাসিক হোটেল নিয়ে যায় সুমন। হোটেল কতৃর্পক্ষের কাছে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ৪০৭ নম্বর কক্ষে ওঠে তারা।’ ওই কক্ষেই বৃষ্টিকে হত্যা করা হয় বলে জানান র‌্যাব ৩-এর অধিনায়ক একরামুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে বৃষ্টিকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে সুমন। হত্যার পর ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বৃষ্টিকে ওড়না দিয়ে হোটেলের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছিল। ঘটনার পরপরই সুমন হোটেল থেকে পালিয়ে যায়।’

সংবাদ সম্মেলনে এমরামুল হাসান বলেন, ‘সে (সুমন) পালিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়ার আগেই আমরা তাকে মিরপুরের পাইকপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বৃষ্টির বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *