ডেস্ক রিপোর্টঃ বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, লকডাউনে কাজ না থাকায় ছেলে-মেয়েদের মুখে ভাত তুলে না দিতে পেরে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর মুক্তারপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে দিনমজুর দ্বীন ইসলাম আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। নির্মম ও বেদনাদায়ক এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ জুলাই দুপুরে। অথচ সরকারের মন্ত্রী-কর্মকর্তারা হরহামেশাই বলে যাচ্ছেন- তারা পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করেছেন, কেউ না খেয়ে নেই, না খেয়ে মারা যাবে না কেউ।
তিনি বলেন, মুক্তারপুরে দ্বীন ইসলামের মতো দেশের অগণিত মানুষ এ ধরনের নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখী। এই দায় কার? অবশ্যই এ দায় সরকারকেই বহন করতে হবে। শুধু তাই নয়, সরকারের অব্যবস্থাপনা, ভ্রান্ত নীতি ও অবহেলা-উদাসীনতায় করোনা চিকিৎসায় যে সংকট দেখা দিয়েছে, অক্সিজেনের অভাবে প্রতিদিনই মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে, এই মৃত্যুর দায়ও সরকারকেই নিতে হবে।
সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের চরম ব্যর্থতায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের রেকর্ড ভঙ্গ করে নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে। জ্যামিতিক হারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জনগণ এখন দিশেহারা হয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে।
একদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি, অপরদিকে সরকারের অপরিকল্পিত, অমানবিক ও নিষ্ঠুর লকডাউনে জনগণ এখন বেগতিক অবস্থার মধ্যে পড়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ব্যর্থতা আড়াল করতে সরকারের মন্ত্রীরা প্রতিদিনই বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। তারা নাকি দূরবীন দিয়ে বিএনপিকে খুঁজে পাচ্ছেন না। বিএনপি নাকি মিথ্যাচার করছে। এসব কথা বলে তারা দেশের যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তা থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে ব্যর্থ অপচেষ্টা করছেন। এসব অযৌক্তিক ও অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ সময়ে জনগণের জীবন নিয়ে চিন্তা না করে মশকরা করছেন। তাদের বডি ল্যাংগুয়েজ ও মাউথ ল্যাংগুয়েজে সেটাই ফুটে উঠছে।
সরকারের বাগপটু মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-বিএনপিকে দূরবীন দিয়ে খোঁজার প্রয়োজন নেই। বিএনপি জনগণের প্রয়োজনে পাশে আছে। বিএনপিকে না খুঁজে জনগণকে বাঁচানোর জন্য টিকা, অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, খাদ্য, অর্থ নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ান। তাদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করুন। আপনাদের ব্যর্থতায় মানুষ প্রতিদিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। এই মৃত্যুর দায় মাথায় নিয়ে জনগণের কাঠগড়ায় আপনাদেরকে দাঁড়াতেই হবে।
তিনি বলেন, মিথ্যাচার বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ করছে। সবচেয়ে বড় মিথ্যা ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরে। রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাস চালিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে অনুগত ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের এক অংশের সহায়তায় দিনের ভোট রাতে করে নির্বাচনকে ব্যর্থ করে দিয়ে যারা জোরপূর্বক ক্ষমতায় আছে, তারাই চরম মিথ্যা ও দুর্নীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তাদের মুখে বিএনপি’র বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ শোভা পায় না।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply