ডেস্ক রিপোর্টঃ অপরিকল্পিত লকডাউনের নামে শ্রমিকদের প্রতি যে উদাসীনতা দেখানো হয়েছে তা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। সরকার শ্রমিকদের মানুষই ভাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত ২১ জুলাই কোরবানির ঈদের আগে ঈদের যাত্রী পরিবহনে গণপরিবহন চলেছে মাত্র দুই দিন। আবার ঈদের একদিন পরেই কঠোর বিধিনিষেধের কারণে বন্ধ হয়ে যায় গণপরিবহন। স্বলসময়ে গণপরিবহনে গাদাগাদি করে ঈদযাত্রায় চলাচল করেছে লাখো মানুষ। এসময় পরিবারের সাথে ঈদ করতে ভিড়ে আটকে পড়ে আরও কয়েক লাখ মানুষ। আবার, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে গেল ৩০ জুলাই হঠাৎ ঘোষণা ১ আগস্ট থেকে তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। এমন ঘোষণায় স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তারা পায়ে হেটে, রিক্সা বা ভ্যানে অথবা ট্রাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজধানীর পথে ছোটেন। শুধু কষ্ট নয়, কয়েকগুণ বেশি খরচ করতে হয়েছে চাকরি রক্ষার্থে।’
জিএম কাদের বলেন, ‘প্রতিটি ফেরিতে কয়েক হাজার মানুষ গাদাগাদি করে নদী পার হয়েছেন। এসব কারণে মারাত্মকভাবে উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। বিপর্যয় এড়াতে সরকারিভাবে ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু করে সরকার।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত বছর এপ্রিল মাসেও লকডাউনের মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানা খুলে এমন নির্মম পরিহাস করা হয়েছিল শ্রমিকদের সাথে। তখনও শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে, অসহনীয় দুর্ভোগ পোহায়ে রাজধানীতে এসেছিল। গেল বছরের লকডাউন থেকে শিক্ষা নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। মনে হচ্ছে সরকার শ্রমিকদের মানুষই ভাবে না।’
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘মহামারি নিয়ন্ত্রণে যেখানে প্রয়োজন পরিকল্পিত লকডাউন, শুধু কথার লকডাউন নয় ও ব্যাপকহারে গণটিকা কর্মসূচি সেখানে দেখা যাচ্ছে সব ক্ষেত্রে চরম সমন্বয়হীনতা। সে কারণে, কমছে না করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা।’
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply